তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের উপর কোন বিপদ আসলে তারা যাতে বলতে না পারে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? তাহলে আমরা আপনার আয়াতসমূহ অনুসরণ করতাম আর আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুর্ক্ত হতাম’। আল-বায়ান
রসূল না পাঠালে তাদের কৃতকর্মের কারণে কোন বিপদ হলে তারা বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের কাছে রসূল পাঠালে না কেন, পাঠালে তোমার আয়াতসমূহের অনুসরণ করতাম আর আমরা মু’মিন হয়ে যেতাম।’ তাইসিরুল
রাসূল না পাঠালে তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের কোন বিপদ হলে তারা বলতঃ হে আমাদের রাব্ব! আপনি আমাদের নিকট কোন রাসূল প্রেরণ করলেন না কেন? তাহলে আমরা আপনার নিদর্শন মেনে চলতাম এবং আমরা হতাম মু’মিন। মুজিবুর রহমান
And if not that a disaster should strike them for what their hands put forth [of sins] and they would say, "Our Lord, why did You not send us a messenger so we could have followed Your verses and been among the believers?"... Sahih International
৪৭. আর রাসূল না পাঠালে তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের উপর কোন বিপদ হলে তারা বলত, হে আমাদের রব! আপনি আমাদের কাছে কোন রাসূল পাঠালেন না কেন? পাঠালে আমরা আপনার নিদর্শন মেনে চলতাম এবং আমরা মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৭) রসূল না পাঠালে ওদের কৃতকর্মের জন্য ওদের কোন বিপদ হলে ওরা বলত, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের নিকট কোন রসূল প্রেরণ করলে না কেন? করলে, আমরা তোমার আয়াতসমূহ মেনে চলতাম এবং আমরা বিশ্বাসী হতাম।’ [1]
[1] অর্থাৎ, তাদের উক্ত ওজর শেষ করার জন্য আমি তোমাকে তাদের নিকট নবী করে পাঠালাম। কারণ, সময়ের সুদীর্ঘ ব্যবধানের ফলে অতীত নবীদের শিক্ষা মুছে গিয়েছিল এবং তাদের আহবান মানুষ ভুলে বসেছিল। আর এই পরিস্থিতিই নতুন নবী প্রেরণের দাবিদার ছিল। এই কারণেই সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর শিক্ষা (কুরআন-হাদীস)-কে মিটে যাওয়া ও রদ্দ্বদল হওয়া থেকে সুরক্ষা দান করেছেন। আর এমন সৃষ্টিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, যাতে তাঁর দাওয়াত পৃথিবীর আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে এবং এখনও পৌঁছচ্ছে, (পৃথিবী এখন একটি শহরের মত অথবা চারিদিকে আয়না বসানো একটি রুমের মত হয়ে গেছে।) যাতে আর কোন নতুন নবী প্রেরণের প্রয়োজনই না পড়ে। সুতরাং যে ব্যক্তি সেই ‘প্রয়োজনীয়তা’র দাবী করে নবুঅতের সঙ্ সাজে, সে মিথ্যুক দাজ্জাল বৈ অন্য কিছু নয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান