আর অবশ্যই আমি পূর্ববর্তী বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করার পর মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা, হিদায়াত ও রহমতস্বরূপ মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম। যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। আল-বায়ান
আমি পূর্ববর্তী অনেক মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার পর মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম- মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা, সত্যপথের নির্দেশ ও রহমতস্বরূপ যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। তাইসিরুল
আমিতো পূর্ববর্তী বহু মানব গোষ্ঠিকে বিনাশ করার পর মূসাকে দিয়েছিলাম কিতাব, মানব জাতির জন্য জ্ঞান-বর্তিকা, পথ নির্দেশ ও দয়া স্বরূপ, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। মুজিবুর রহমান
And We gave Moses the Scripture, after We had destroyed the former generations, as enlightenment for the people and guidance and mercy that they might be reminded. Sahih International
৪৩. আর অবশ্যই পূর্ববর্তী বহু প্ৰজন্মকে বিনাশ করার পর(১) আমরা মূসাকে দিয়েছিলাম কিতাব, মানবজাতির জন্য জ্ঞান-বর্তিকা; পথনির্দেশ ও অনুগ্রহস্বরূপ; যাতে তারা উপদেশ গ্ৰহণ করে।
(১) ‘পূর্ববর্তী বহু প্রজন্ম’’ বলে নূহ, হূদ, সালেহ আলাইহিমুস সালামের সম্প্রদায়সমূহকে বোঝানো হয়েছে। তারা মূসা আলাইহিস সালামের পূর্বে অবাধ্যতার কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর] পূর্ববর্তী প্রজন্মগুলো যেমনিভাবে পূর্বের নবীদের শিক্ষাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অশুভ পরিণাম ভোগ করেছিল তেমনিভাবে ফিরআউন ও তার সৈন্যরা সে একই ধরনের পরিণতি দেখেছিল। তার পরে মূসা আলাইহিস সালামকে কিতাব দেয়া হয়েছিল, যাতে মানব জাতির একটি নব যুগের সূচনা হয়। এরপর থেকে আর কোন সম্প্রদায়ের সকলকে একত্রে আযাব দিয়ে আল্লাহ তা'আলা ধ্বংস করেননি। [ইবন কাসীর]
بصائر শব্দটি بصيرة এর বহুবচন। এর শাব্দিক অর্থ জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি। এখানে উদ্দেশ্য সেই জ্ঞান যা দ্বারা মানুষ বস্তুর স্বরূপ দেখতে পারে, হক জানতে পারে এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে পারে। যা অনুসরণ করলে মানুষ হেদায়াত পেতে পারে। পথভ্রষ্টতা থেকে নিজেদেরকে উদ্ধার করতে পারে। [ফাতহুল কাদীর] এখানে ناس বলে মূসা আলাইহিস সালামের উম্মতদের বোঝানো হয়েছে। কারণ; তাওরাত তাদের জন্য আলোকবর্তিকাস্বরূপ ছিল। আমাদের নবীর উপর কুরআন নাযিল হওয়ার পর সে আলোকবর্তিকার পরিবর্তে অন্য আলোকবর্তিকা এসে যাওয়ায় পূর্বেরটা রহিত হয়ে গেছে। এখন আর তা থেকে হেদায়াত নেওয়ার দরকার নেই।
(৪৩) আমি অবশ্যই পূর্ববর্তী বহু মানবগোষ্ঠীকে বিনাশ করার পর মূসাকে গ্রন্থ দিয়েছিলাম[1] মানব-জাতির জন্য আলোক-বর্তিকা, পথনিদের্শ ও করুণাস্বরূপ;[2] যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। [3]
[1] অর্থাৎ, ফিরআউন ও তার জাতি অথবা নূহ জাতি, আদ ও সামূদ জাতির ধ্বংসের পর মূসা (আঃ)-কে (তাওরাত) কিতাব দান করা হয়েছে।
[2] যাতে মানুষ সত্য চিনতে ও গ্রহণ করতে পারে এবং আল্লাহর কৃপার উপযুক্ত হয়।
[3] অর্থাৎ, আল্লাহর অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতা করে, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং তাঁর প্রেরিত নবীদের আনুগত্য করে, যাঁরা তাদেরকে মঙ্গল, সুপথ ও সত্যিকার সফলতার দিকে আহবান করেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান