আর আমি তাদেরকে নেতা বানিয়েছিলাম, তারা জাহান্নামের দিকে আহবান করত এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে সাহায্য করা হবে না। আল-বায়ান
আমি তাদেরকে নেতা করেছিলাম। তারা জাহান্নামের দিকে আহবান করত, ক্বিয়ামতের দিন তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না। তাইসিরুল
তাদেরকে আমি নেতা করেছিলাম। তারা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে আহবান করত। কিয়ামাত দিবসে তাদেরকে সাহায্য করা হবেনা। মুজিবুর রহমান
And We made them leaders inviting to the Fire, and on the Day of Resurrection they will not be helped. Sahih International
৪১. আর আমরা তাদেরকে নেতা করেছিলাম; তারা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে ডাকত(১); এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে সাহায্য করা হবে না।
(১) অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা ফিরআউনের পরিষদবৰ্গকে খারাপ ও নিন্দনীয় ব্যাপারে নেতা করে দিয়েছিলেন। সুতরাং দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে যারাই খারাপ কাজ করবে, যারাই কোন খারাপ কাজের প্রচার ও প্রসার ঘটাবে ফিরআউন ও তার পরিষদবর্গকে তারাই উত্তরসূরী হিসেবে পাবে। এরা হলো সমস্ত ভ্রান্ত মতবাদের হোতা। এ ভ্রান্ত নেতারা জাতিকে জাহান্নামের দিকে আহবান করতে থাকবে। কেয়ামত পর্যন্ত যারাই পথভ্রষ্ট কোন মত ও পথের দিকে মানুষকে আহবান করবে তারাই ফিরআউন ও তার সভাষদদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে থাকবে। [দেখুন: কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর]
তারা জাহান্নামের পথের সর্দার। দুনিয়াতে যে ব্যক্তি মানুষকে কুফৱী ও যুলুমের দিকে আহবান করে, সে প্রকৃতপক্ষে জাহান্নামের দিকেই আহবান করে। আমরা যদি জাতিসমূহের পথভ্রষ্টতার উৎসের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করি তবে দেখতে পাব যে, সবচেয়ে প্রাচীন ভ্ৰষ্টতার উৎপত্তি ঘটেছে মিসর থেকে। ফিরআউন সর্বপ্রথম ‘ওয়াহদাতুল ওজুদ’ তথা সৰ্বেশ্বরবাদের দাবী তুলেছিল। আর সে দাবী এখনো পর্যন্ত ভারত তথা হিন্দুস্থানের হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও সুফীবাদের অনেকের মধ্যেই পাওয়া যায়। আর এ জন্যেই ফেরআউনকে অনেক সুফীরা ঈমানদার বলার মত ধৃষ্টতা দেখায়।
তাফসীরে জাকারিয়া(৪১) ওদেরকে আমি নেতা করেছিলাম; ওরা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে আহবান করত।[1] কিয়ামতের দিন ওরা কিছু মাত্র সাহায্য পাবে না।
[1] অর্থাৎ, তাদের পরে যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর একত্ববাদ বা আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করবে, ফিরআউনীরা তার পথিকৃৎ নেতা ও অগ্রগামী গণ্য হবে, যারা ছিল জাহান্নামের দিকে আহবানকারী।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান