আর অবশ্যই আমি দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছি এবং তারা উভয়ে বলল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই, যিনি তাঁর অনেক মুমিন বান্দাদের উপর আমাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন’। আল-বায়ান
আমি দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম। তারা উভয়ে বলেছিল, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি তাঁর বহু মু’মিন বান্দাদের উপর আমাদেরকে মর্যাদা দান করেছেন।’ তাইসিরুল
আমি অবশ্যই দাউদকে ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম এবং তারা বলেছিলঃ প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে তাঁর বহু মু’মিন বান্দাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। মুজিবুর রহমান
And We had certainly given to David and Solomon knowledge, and they said, "Praise [is due] to Allah, who has favored us over many of His believing servants." Sahih International
১৫. আর অবশ্যই আমরা দাউদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম(১) এবং তারা উভয়ে বলেছিলেন, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে তাঁর বহু মুমিন বান্দাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।(২)
(১) এখানে নবীদের নবুওয়ত-রিসালত সহ যাবতীয় প্রশস্ত জ্ঞান সবই উদ্দেশ্য। [ইবন কাসীর; জালালাইন; সা’দী] যেমন দাউদ আলাইহিস সালামকে লৌহবর্ম নির্মাণ শিল্প শেখানো হয়েছিল। নবীগণের মধ্যে দাউদ ও সুলাইমান আলাইহিমাস সালাম এই বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন যে, তাদেরকে নবুওয়ত ও রেসালতের সাথে রাজত্ব দান করা হয়েছিল। তাদেরকে বিচার-ফয়সালার জ্ঞানও প্রদান করা হয়েছিল। সুলাইমানের রাজত্ব এমন নজিরবিহীন যে, শুধু মানুষের উপর নয়- জিন ও জন্তু-জানোয়ারদের উপরও তার শাসন ক্ষমতা ছিল।
(২) আসলে আল্লাহর দেয়া যে ক্ষমতা তাদেরকে দেয়া হয়েছে তাকে আল্লাহর ইচ্ছা ও মর্জি অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। কারণ, এ ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার ও অপব্যবহারের জন্য তাদেরকে প্রকৃত মালিকের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ফিরআউন শাসন ক্ষমতা ধন-সম্পদ, মান-মর্যাদা, এগুলো লাভ করেছিল এবং দাউদ ও সুলাইমান আলাইহিমাস সালামও সে ধরনের নেয়ামত লাভ করেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞতা তাদের মধ্যে কত বড় ব্যবধান সৃষ্টি করে দিয়েছে তা বর্ণনার জন্যই এখানে সুলাইমান আলাইহিস সালামের ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে। [আত-তাহরীর ওয়াত তানওয়ীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৫) আমি অবশ্যই দাঊদ ও সুলাইমানকে জ্ঞান দান করেছিলাম[1] এবং তারা বলেছিল, ‘প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে তাঁর বহু বিশ্বাসী দাসের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’
[1] সূরার প্রথম দিকে বলা হয়েছে যে, এ কুরআন আল্লাহর পক্ষ হতে নবী (সাঃ)-কে শিখানো হচ্ছে। আর তার প্রমাণস্বরূপ মূসার ঘটনা সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করা হল। এখন দ্বিতীয় প্রমাণ দাঊদ ও সুলাইমান (আলাইহিমাস সালাম) এর এই ঘটনা। নবীদের এ সমস্ত ঘটনাবলীর বিবরণ এই কথারই প্রমাণ বহন করে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) সত্য রসূল। এখানে জ্ঞান বলতে নবুঅতের জ্ঞান ছাড়া দাঊদ ও সুলাইমান (আলাইহিমাস সালাম)-কে বিশেষভাবে যে জ্ঞান দান করা হয়েছিল তাকে বুঝানো হয়েছে। যেমন দাঊদ (আঃ)-কে লোহা থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরী করার জ্ঞান এবং সুলাইমান (আঃ)-কে জীব-জন্তুর ভাষা বা বুলি বুঝার জ্ঞান দান করা হয়েছিল। এই দুই পিতা-পুত্রকে আরো অনেক কিছু দান করা হয়েছিল। কিন্তু এখানে শুধু জ্ঞানের কথা উল্লেখ হয়েছে। যাতে বুঝা যাচ্ছে যে, জ্ঞান হল আল্লাহর সব চেয়ে বড় নিয়ামত।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান