২৭ সূরাঃ আন-নামাল | An-Naml | سورة النمل - আয়াতঃ ১১
২৭:১১ اِلَّا مَنۡ ظَلَمَ ثُمَّ بَدَّلَ حُسۡنًۢا بَعۡدَ سُوۡٓءٍ فَاِنِّیۡ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۱﴾
الا من ظلم ثم بدل حسنا بعد سوٓء فانی غفور رحیم ﴿۱۱﴾

‘তবে যে যুল্‌ম করে। তারপর অসৎকাজের পরিবর্তে সৎকাজ করে, তবে অবশ্যই আমি অধিক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’। আল-বায়ান

তবে যে অত্যাচার করে অতঃপর মন্দ কাজের পরিবর্তে সৎ কাজ করে, তাহলে নিশ্চয় আমি ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। তাইসিরুল

তবে যারা যুল্‌ম করার পর মন্দ কাজের পরিবর্তে সৎ কাজ করে তাদের প্রতি আমি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। মুজিবুর রহমান

Otherwise, he who wrongs, then substitutes good after evil - indeed, I am Forgiving and Merciful. Sahih International

১১. তবে যে যুলুম করে(১), তারপর মন্দ কাজের পরিবর্তে সৎকাজ করে, তাহলে নিশ্চয় আমি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

(১) এখানে বলা হয়েছে, “তবে যে যুলুম করে” অর্থাৎ যে যুলুম করে সে আল্লাহর কাছ থেকে নিরাপত্তা পেতে পারে না। অধিকাংশ মুফাসসির বলেন, এখানে পূর্ববর্তী আয়াতে যাদের বলা হয়েছে অর্থাৎ নবী-রাসূলদের কথা, তাদের ব্যাপারে কথা হচ্ছে না। পূর্ববর্তী আয়াতে নবী-রাসূলদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বিধানের পর কারা নিরাপত্তা পাবে না তাদের আলোচনা করা হচ্ছে। কারণ, নবীগণ নিষ্পাপ। [ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১১) তবে যে সীমালংঘন করে,[1] অতঃপর মন্দ কাজের পরিবর্তে ভালো কাজ করে; নিশ্চয় (তার প্রতি) আমি চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [2]

[1] অর্থাৎ, অত্যাচারীর এই ভয় থাকা উচিত যে, আল্লাহ যেন তাকে পাকড়াও না করে বসেন।

[2] অর্থাৎ, আমি অত্যাচারীর তওবাও কবুল করে থাকি।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান