২৫ সূরাঃ আল-ফুরকান | Al-Furqan | سورة الفرقان - আয়াতঃ ৭২
২৫:৭২ وَ الَّذِیۡنَ لَا یَشۡهَدُوۡنَ الزُّوۡرَ ۙ وَ اِذَا مَرُّوۡا بِاللَّغۡوِ مَرُّوۡا كِرَامًا ﴿۷۲﴾
و الذین لا یشهدون الزور و اذا مروا باللغو مروا كراما ﴿۷۲﴾

আর যারা মিথ্যার সাক্ষ্য হয় না এবং যখন তারা অনর্থক কথা-কর্মের পাশ দিয়ে চলে তখন সসম্মানে চলে যায়। আল-বায়ান

আর যারা মিথ্যে সাক্ষ্য দেয় না, আর বেহুদা কর্মকান্ডের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলে সসম্মানে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। তাইসিরুল

আর যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়না এবং যখন তারা অসার ক্রিয়া-কলাপের সম্মুখীন হয় তখন স্বীয় মর্যাদার সাথে তা পরিহার করে চলে – মুজিবুর রহমান

And [they are] those who do not testify to falsehood, and when they pass near ill speech, they pass by with dignity. Sahih International

৭২. আর যারা মিথ্যার সাক্ষ্য হয় না এবং অসার কার্যকলাপের সম্মুখীন হলে আপন মর্যাদা রক্ষার্থে তা পরিহার করে চলে।(১)

(১) অর্থাৎ আল্লাহর সৎ বান্দাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা জেনে শুনে আজে-বাজে কথা ও কাজ দেখতে বা শুনতে অথবা তাতে অংশ গ্রহণ করে না। আর যদি কখনো তাদের পথে এমন কোন জিনিস এসে যায়, তাহলে তার প্রতি একটা উড়ো নজর না দিয়েও তারা এভাবে সে জায়গা অতিক্রম করে যেমন একজন অত্যন্ত সুরুচিসম্পন্ন ব্যক্তি কোন ময়লার স্তুপ অতিক্রম করে চলে যায়। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর, কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৭২) এবং (তারাই পরম দয়াময়ের দাস) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না[1] এবং অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হলে স্বীয় মর্যাদা রক্ষার্থে তা পরিহার করে চলে। [2]

[1] زور এর অর্থ মিথ্যা। আর প্রত্যেক বাতিল জিনিসই হল মিথ্যা। সেই কারণে মিথ্যা সাক্ষ্য থেকে নিয়ে কুফর, শিরক ও প্রত্যেকটি অন্যায় ও অবৈধ কাজ যেমন (অবৈধ) মেলা-খেলা, গান-বাজনা এবং অন্যান্য জাহেলী কর্মকান্ড সবই এর অন্তর্ভুক্ত। রহমানের বান্দাদের গুণ এই যে, তারা উক্ত সকল প্রকার মিথ্যা কথা বা মিথ্যা অনুষ্ঠান ও মজলিসে উপস্থিত হয় না। يَشهَدُون এর দ্বিতীয় অর্থ উপস্থিত হওয়া।

[2] لَغو এমন প্রত্যেক কথা ও কাজকে বলা হয়, যাতে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন উপকার নেই। অর্থাৎ এমন কাজে ও কথায় তারা অংশগ্রহণ করে না; বরং চুপচাপ নিজ সম্মান বাঁচিয়ে পাশ কাটিয়ে যায়।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান