‘হে আমার রব, তাহলে আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না।’ আল-বায়ান
তাহলে হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না’। তাইসিরুল
তবে হে আমার রাব্ব! আপনি আমাকে যালিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করবেননা। মুজিবুর রহমান
My Lord, then do not place me among the wrongdoing people." Sahih International
৯৪. তবে, হে আমার রব! আপনি আমাকে যালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন না।(১)
(১) উদ্দেশ্য এই যে, কুরআনের অনেক আয়াতে মুশরিক ও কাফেরদের উপর যে আযাবের কথা উল্লেখিত হয়েছে, কেয়ামতে এই আযাব হওয়া তো অকাট্য ও নিশ্চিতই, দুনিয়াতে হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এই আযাব দুনিয়াতে হয়, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পরে হওয়ারও সম্ভাবনা আছে এবং তার যমানায় তার চোখের সামনে তাদের উপর কোন আযাব আসার সম্ভাবনাও আছে। দুনিয়াতে যখন কোন সম্প্রদায়ের উপর কোন আযাব আসে, তখন মাঝে মাঝে সেই আযাবের প্রতিক্রিয়া শুধু যালেমদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সৎলোকও এর কারণে পার্থিব কষ্টে পতিত হয়। তবে হয়ত এ কারণে আখেরাতে তাদের আযাবের ভার লাঘব হবে। তাছাড়া এই পার্থিব কষ্টের কারণে তারা সওয়াবও পাবে।
আল্লাহ বলেনঃ “এমন আযাবকে ভয় করো, যা এসে গেলে শুধু যালেমদের পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে না” [সূরা আল-আনফালঃ ২৫] বরং অন্যরাও এর কবলে পতিত হবে। তাই এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই দো'আ শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, আপনি বলুনঃ হে আল্লাহ, যদি তাদের উপর আপনার আযাব আমার সামনে এবং আমার চোখের উপরই আসে, তবে আমাকে এই যালেমদের সাথে রাখবেন না। আমাকে তাদের বাইরে রাখবেন। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯৪) হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে যালেম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করো না।’ [1]
[1] সুতরাং হাদিসে এসেছে যে, নাবী (সাঃ) এই বলে দুয়া করতেন, "হে আল্লাহ্! যখন তুমি কোন জাতিকে ফিতনায় ফেলার ইচ্ছা কর তখন তার পূর্বেই তুমি আমাকে (পৃথিবী হতে) তোমার নিকট ফিতনামুক্ত অবস্থায় তুলে নিও।" (তিরমিজিঃ তাফসীর সুরা সা-দ, আহমাদ ৫/২৪৩)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান