‘হে ইয়াহইয়া, তুমি কিতাবটিকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর’। আমি তাকে শৈশবেই প্রজ্ঞা* দান করেছি। আল-বায়ান
(তার পুত্রের কাছে নির্দেশ আসল) ‘হে ইয়াহ্ইয়া! এ কিতাব (তাওরাত) সুদৃঢ়ভাবে ধারণ কর।’ আমি তাকে বাল্য কালেই জ্ঞান দান করেছিলাম। তাইসিরুল
আমি বললামঃ হে ইয়াহ্ইয়া! এই কিতাব দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ কর; আমি তাকে শৈশবেই দান করেছিলাম জ্ঞান – মুজিবুর রহমান
[Allah] said, "O John, take the Scripture with determination." And We gave him judgement [while yet] a boy Sahih International
* এখানে ‘হুকম’ বলতে হিকমাত বা প্রজ্ঞা বুঝানো হয়েছে। কারো মতে, তা হল ইলম ও আমল। কেউ বলেছেন, নবুওয়াত বা আকল। ইমাম শওকানী বলেন, উল্লেখিত প্রতিটি বিষয় ‘হুকম’ দ্বারা উদ্দেশ্য হতে পারে।
১২. হে ইয়াহইয়া(১)! আপনি কিতাবটিকে দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ করুন। আর আমরা তাকে শৈশবেই দান করেছিলাম প্ৰজ্ঞা।(২)
(১) মাঝখানে এই বিস্তারিত তথ্য পরিবেশিত হয়নি যে, আল্লাহর ফরমান অনুযায়ী ইয়াহইয়ার জন্ম হয় এবং শৈশব থেকে তিনি যৌবনে পদার্পণ করেন। এখন বলা হচ্ছে, যখন তিনি জ্ঞানলাভের নির্দিষ্ট বয়ঃসীমায় পৌঁছেন তখন তাঁর উপর কি দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এখানে মাত্র একটি বাক্যে নবুওয়াতের মহান মর্যাদায় অভিষিক্ত করার সময় তার উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয় তার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি তাওরাতকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবেন এবং বনী ইসরাঈলকে এ পথে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবেন। আর যদি কিতাব বলে কোন সুনির্দিষ্ট সহীফা ও চিঠি সংবলিত গ্ৰন্থ বুঝানো হয়ে থাকে। তবে তাও উদ্দেশ্য হতে পারে। [দেখুন, ইবন কাসীর]
(২) এখানে الحكم শব্দ দ্বারা জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বুঝ, দৃঢ়তা, স্থিরতা, কল্যাণমূলক কাজে অগ্ৰগামিতা এবং অসৎকাজ থেকে বিমুখতা বুঝানো হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই তিনি এ সমস্ত গুণের অধিকারী ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক বলেন, মা’মার বলেনঃ ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়্যাকে কিছু ছোট ছেলে-পুলে বলল যে, চল আমরা খেলতে যাই। তিনি জবাবে বললেনঃ খেল-তামাশা করার জন্য তো আমাদের সৃষ্টি করা হয়নি! [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১২) (আল্লাহ বললেন,) ‘হে য়্যাহয়্যা! এই কিতাব[1] দৃঢ়তার সাথে গ্রহণ কর’; আমি শৈশবেই তাকে দান করেছিলাম প্রজ্ঞা। [2]
[1] আল্লাহ যাকারিয়া (আঃ)-কে পুত্র য়্যাহয়্যা দান করলেন। আর তিনি যখন একটু বড় হলেন, তখন মহান আল্লাহ কিতাবকে শক্ত করে ধারণ করার; অর্থাৎ তার উপর আমল করার আদেশ করলেন। ‘কিতাব’ বলতে তাওরাতকে বুঝানো হয়েছে। অথবা তাঁকে যে বিশেষ কিতাব দান করা হয়েছিল তা, যা আমাদের অজানা।
[2] حُكم (প্রজ্ঞা)এর অর্থঃ জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক, কিতাবে উল্লিখিত দ্বীন সম্পর্কে পান্ডিত্য, ইলম ও আমলের সমষ্টি অথবা নবুঅত হতে পারে। ইমাম শাওকানী (রঃ) বলেছেন যে, এতে কোন বাধা নেই যে, حكم বলতে উক্ত সকল অর্থই শামিল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান