সূরাঃ আত-তাওবা | At-Tawba | سورة التوبة - আয়াতঃ ৮৫
৯:৮৫ وَ لَا تُعۡجِبۡکَ اَمۡوَالُهُمۡ وَ اَوۡلَادُهُمۡ ؕ اِنَّمَا یُرِیۡدُ اللّٰهُ اَنۡ یُّعَذِّبَهُمۡ بِهَا فِی الدُّنۡیَا وَ تَزۡهَقَ اَنۡفُسُهُمۡ وَ هُمۡ کٰفِرُوۡنَ ﴿۸۵﴾
و لا تعجبک اموالهم و اولادهم انما یرید الله ان یعذبهم بها فی الدنیا و تزهق انفسهم و هم کفرون ۸۵

আর তোমাকে যেন মুগ্ধ না করে তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি, আল্লাহ এর দ্বারা কেবল তাদের দুনিয়ার জীবনে আযাব দিতে চান এবং কাফির অবস্থায় তাদের জান বের হয়ে যাবে। আল-বায়ান

তাদের মালধন আর সন্তান-সন্ততি তোমার যেন চোখ ধাঁধিয়ে না দেয়, দুনিয়াতে আল্লাহ সে সব দিয়েই তাদেরকে শাস্তি দেয়ার ইচ্ছে করেন আর কাফির অবস্থায় যেন তাদের প্রাণবায়ু নির্গত হয়। তাইসিরুল

আর তাদের ধন-সস্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাকে যেন বিস্মিত না করে; আল্লাহ শুধু এটাই চাচ্ছেন যে, এ সমস্ত বস্তুর কারণে দুনিয়ায় তাদেরকে শাস্তিতে আবদ্ধ রাখেন এবং তাদের প্রাণবায়ু কুফরী অবস্থায়ই বের হয়ে যায়। মুজিবুর রহমান

And let not their wealth and their children impress you. Allah only intends to punish them through them in this world and that their souls should depart [at death] while they are disbelievers. Sahih International

৮৫. আর তাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আপনাকে যেন বিমুগ্ধ না করে; আল্লাহ তো এগুলোর দ্বারাই তাদেরকে পার্থিব জীবনে শাস্তি দিতে চান; আর তারা কাফের থাকা অবস্থায় তাদের আত্মা দেহ-ত্যাগ করে।(১)

(১) আয়াতে সেসব মুনাফিকের কথাই বর্ণনা করা হয়েছে যারা তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণে নানা রকম ছলনার আশ্রয়ে বিরত থেকেছিল। সেসব মুনাফিকের মাঝে কেউ কেউ সম্পদশালী লোকও ছিল। তাদের অবস্থা থেকে মুসলিমদের ধারণা হতে পারত যে, এরা যখন আল্লাহর নিকট ধিকৃত, তখন দুনিয়াতে এরা কেন এসব নেয়ামত পাবে? এর উত্তরে এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, যদি লক্ষ্য করে দেখা যায়, তবে দেখা যাবে, তাদের এ ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন রহমত ও নেয়ামত নয়; বরং পার্থিবজীবনেও এগুলো তাদের জন্য আযাব বিশেষ। আখেরাতের আযাব তো এর বাইরে আছেই। দুনিয়াতে আযাব হওয়ার ব্যাপারটি এভাবে যে, ধন-সম্পদের মহব্বত, তার রক্ষণাবেক্ষণ ও বৃদ্ধির চিন্তা-ভাবনা তাদেরকে এমন কঠিনভাবে পেয়ে বসে যে, কোন সময় কোন অবস্থাতেই স্বস্তি পেতে দেয় না।

আরাম আয়েশের যত উপকরণই তাদের কাছে থাক না কেন, তাদের ভাগ্যে সে আরাম জুটে না যা মনের শান্তি ও স্বস্তি হিসাবে গণ্য হতে পারে। এছাড়া দুনিয়ার এসব ধন-সম্পদ যেহেতু তাদেরকে আখেরাত সম্পর্কে গাফেল করে দিয়ে কুফর ও পাপে নিমজ্জিত করে রাখার কারণ হয়ে থাকে, সেহেতু আযাবের কারণ হিসাবেও এগুলোকে আযাব বলা যেতে পারে। তারা যখন মারা যায় তখনো এগুলোর ভালবাসা তাদের অন্তরে বেশী থাকার কারণে তাদের মৃত্যু হলেও সম্পদ হারানের কারণে ভীষণ কষ্টে থাকে। এ কারণেই কুরআনের ভাষায় لِيُعَذِّبَهُمْ بِهَا বলা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা এ সমস্ত ধন সম্পদের মাধ্যমেই তাদেরকে শাস্তি দিতে চান। সুতরাং এ কথা কক্ষনো ভাবা যাবে না যে, তাদেরকে এগুলো দিয়ে আল্লাহ তা'আলা সম্মানিত করছেন। বরং এগুলো দিয়ে তিনি তাদেরকে অপমানিত করেছেন। [সা'দী; ইগাসাতুল লাহফান]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮৫) তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাকে বিস্মিত না করে; আল্লাহ তো শুধু এই চান যে, তিনি সে সবের মাধ্যমে দুনিয়ায় তাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং কুফরী অবস্থাতেই তাদের প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবে।

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান