লগইন করুন
৬ সূরাঃ আল-আন'আম | Al-An'am | سورة الأنعام - আয়াত নং - ১১১ - মাক্কী
আর যদি আমি তাদের নিকট ফেরেশতা নাযিল করতাম এবং মৃতরা তাদের সাথে কথা বলত। আর সবকিছু সরাসরি তাদের সামনে সমবেত করতাম, তাহলেও তারা ঈমান আনত না, যদি না আল্লাহ চাইতেন; কিন্তু তাদের অধিকাংশই মূর্খ। আল-বায়ান
আমি যদি তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ করতাম আর মৃতরা তাদের সাথে কথা বলত আর আমি তাদের সামনে যাবতীয় বস্তু হাজির করে দিতাম তবুও আল্লাহর ইচ্ছে ব্যতীত তারা ঈমান আনত না, মূলতঃ তাদের অধিকাংশই অজ্ঞতাপূর্ণ কাজ করে। তাইসিরুল
আমি যদি তাদের কাছে মালাক অবতীর্ণ করতাম, আর মৃতরাও যদি তাদের সাথে কথা বলত এবং দুনিয়ার সমস্তই যদি আমি তাদের চোখের সামনে সমবেত করতাম, তবুও তারা ঈমান আনতনা আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মূর্খ। মুজিবুর রহমান
And even if We had sent down to them the angels [with the message] and the dead spoke to them [of it] and We gathered together every [created] thing in front of them, they would not believe unless Allah should will. But most of them, [of that], are ignorant. Sahih International
১১১. আর আমরা তাদের কাছে ফিরিশতা পাঠালেও এবং মৃতেরা তাদের সাথে কথা বললেও এবং সকল বস্তুকে তাদের সামনে সমবেত করলেও আল্লাহর ইচ্ছে না হলে তারা কখনো ঈমান আনবে না; কিন্তু তাদের অধিকাংশই মূর্খ।(১)
(১) আলোচ্য আয়াতে এ বিষয়বস্তুই বর্ণিত হয়েছে যে, যদি আমি তাদের প্রার্থিত মুজিযাসমূহ দেখিয়ে দেই; বরং এর চাইতেও বেশী ফিরিশতাদের সাথে তাদের সাক্ষাৎ এবং মৃতদের সাথে বাক্যালাপ করিয়ে দেই, তবুও তারা মানবে না। [মুয়াস্সার]
তাফসীরে জাকারিয়া(১১১) আমি যদি তাদের নিকট ফিরিশতা প্রেরণ করতাম[1] এবং মৃতেরা তাদের সাথে কথা বলত[2] এবং সকল বস্তুকে তাদের সম্মুখে হাজির করতাম[3] তবুও আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত তারা বিশ্বাস করত না। কিন্তু তাদের অধিকাংশই অজ্ঞ।[4]
[1] যেমন তারা বারবার আমার পয়গম্বরের কাছে এর দাবী করে।
[2] এবং সে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর (আল্লাহর) রসূল হওয়ার কথা সত্যায়ন করত।
[3] এর দ্বিতীয় অর্থ হল, যে নিদর্শনসমূহের এরা দাবী করে, সেগুলো সবই যদি তাদের সামনে উপস্থিত করে দেওয়া হত। আর একটি অর্থ হল, প্রতিটি জিনিস একত্রিত হয়ে দলে দলে যদি এই সাক্ষ্য দিত যে, নবী প্রেরণের ধারা সত্য, তবুও এই সমস্ত নিদর্শন এবং যাবতীয় দাবী পূরণ করে দেওয়া সত্ত্বেও এরা ঈমান আনত না। তবে যাকে আল্লাহ চান (তার কথা ভিন্ন)। নিম্নের আয়াতটিও এই অর্থেরই {إِنَّ الَّذِينَ حَقَّتْ عَلَيْهِمْ كَلِمَتُ رَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ، وَلَوْ جَاءَتْهُمْ كُلُّ آيَةٍ حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} অর্থাৎ, নিঃসন্দেহে যাদের সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সত্য হয়েছে, তারা বিশ্বাস করবে না; যদিও তাদের নিকট সমস্ত নিদর্শন আগত হয়, যে পর্যন্ত না তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করেছে। (সূরা ইউনুস ৯৬-৯৭)
[4] আর অজ্ঞতাপূর্ণ কথাগুলোই তাদের এবং সত্যকে গ্রহণ করার মাঝে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। যদি অজ্ঞতার এই বেড়া ভেঙ্গে যায়, তবে হয়তো সত্য তাদের বুঝে আসবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তা অবলম্বনও করে নেবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান