সূরাঃ আল-আন'আম | Al-An'am | سورة الأنعام - আয়াত নং - ৮৮ - মাক্কী

৬ : ৮৮ ذٰلِكَ هُدَی اللّٰهِ یَهۡدِیۡ بِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ ؕ وَ لَوۡ اَشۡرَكُوۡا لَحَبِطَ عَنۡهُمۡ مَّا كَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ ﴿۸۸﴾

এ হচ্ছে আল্লাহর হিদায়াত, এ দ্বারা তিনি নিজ বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত করেন। আর যদি তারা শির্‌ক করত, তবে তারা যা আমল করছিল তা অবশ্যই বরবাদ হয়ে যেত। আল-বায়ান

এ হচ্ছে আল্লাহর হিদায়াত, তিনি তাঁর বান্দাহদেরকে থেকে যাকে ইচ্ছে হিদায়াত করেন, তারা যদি শিরক করত তবে তাদের সব কৃতকর্ম বিনষ্ট হয়ে যেত। তাইসিরুল

এটাই আল্লাহর হিদায়াত; তিনি তাঁর বান্দার মধ্যে যাকে চান এই পথে পরিচালিত করেন। কিন্তু তারা যদি শির্‌ক করত তাহলে তারা যা কিছুই করত, সবই ব্যর্থ হয়ে যেত। মুজিবুর রহমান

That is the guidance of Allah by which He guides whomever He wills of His servants. But if they had associated others with Allah, then worthless for them would be whatever they were doing. Sahih International

৮৮. এটা আল্লাহর হিদায়াত, স্বীয় বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছে তিনি এ দ্বারা হিদায়াত করেন। আর যদি তারা শির্ক করত তবে তাঁদের কৃতকর্ম নিস্ফল হত।(১)

(১) আলোচ্য আয়াতসমূহে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত দানসমূহ বর্ণনা করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীসের একটি নিয়ম ব্যক্ত করা হয়েছে যে, “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে প্রিয় বস্তু বিসর্জন দেয়, আল্লাহ তা'আলা তাকে দুনিয়াতেও তদপেক্ষা উত্তম বস্তু দান করেন।” [মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩৬৩] অপরদিকে মক্কার মুশরিকদেরকে এসব অবস্থা শুনিয়ে বলা হয়েছে যে, দেখ, তোমাদের মান্যবর ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তার সমগ্র পরিবার এ কথাই বলে এসেছেন যে, আরাধনার যোগ্য একমাত্র সত্তা হচ্ছেন আল্লাহ্ তা'আলা। তার সাথে অন্যকে আরাধনায় শরীক করা কিংবা তার বিশেষ গুণে তার সমতুল্য মনে করা, তার ইবাদাতে অপর কাউকে শরীক করা শির্ক, কুফর ও পথভ্রষ্টতা। অতএব, তোমরা যদি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদেশ অমান্য কর, তবে তোমরা আপন স্বীকৃত বিষয় অনুযায়ীও অভিযুক্ত।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৮৮) এ আল্লাহর পথ, নিজের দাসদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তিনি এ দ্বারা পরিচালিত করেন, তারা যদি অংশী স্থাপন (শিরক) করত, তাহলে তাদের কৃতকর্ম নিষ্ফল হত। [1]

[1] ১৮ জন নবীদের নাম উল্লেখ করে মহান আল্লাহ বলছেন, এই নবীরাও যদি শিরক করে বসত, তবে তাদেরও সমস্ত আমল নিষ্ফল ও বিনষ্ট হয়ে যেত। যেমন, অন্যত্র নবী করীম (সাঃ)-কে সম্বোধন করে আল্লাহ তাআলা বলেন, {لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ} ‘‘ হে নবী! যদি তুমিও শিরক কর, তবে তোমার সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে।’’ (সূরা যুমার ৬৫) অথচ নবীদের দ্বারা শিরক সংঘটন হওয়া সম্ভবই নয়। আসলে উদ্দেশ্য হল উম্মতদেরকে শিরকের ভয়াবহতা এবং তার সর্বনাশী কুফল থেকে সতর্ক করা।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান