৭১ সূরাঃ নূহ | Nuh | سورة نوح - আয়াত নং - ৪ - মাক্কী

৭১ : ৪ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ مِّنۡ ذُنُوۡبِکُمۡ وَ یُؤَخِّرۡکُمۡ اِلٰۤی اَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اِنَّ اَجَلَ اللّٰهِ اِذَا جَآءَ لَا یُؤَخَّرُ ۘ لَوۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۴﴾

‘তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন এবং তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেবেন; আল্লাহর নির্ধারিত সময় আসলে কিছুতেই তা বিলম্বিত করা হয় না, যদি তোমরা জানতে’! আল-বায়ান

তাহলে তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করে দেবেন এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন। আল্লাহ কর্তৃক নিদিষ্ট সময় যখন আসবে তখন আর তা বিলম্বিত হবে না। তোমরা যদি জানতে!’ তাইসিরুল

তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে অবকাশ দিবেন এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত; নিশ্চয়ই আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কাল উপস্থিত হলে উহা বিলম্বিত হয়না; যদি তোমরা এটা জানতে। মুজিবুর রহমান

Allah will forgive you of your sins and delay you for a specified term. Indeed, the time [set by] Allah, when it comes, will not be delayed, if you only knew.' " Sahih International

৪. তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন(১) এবং তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন। এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।(২) নিশ্চয় আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হলে তা বিলম্বিত করা হয় না; যদি তোমরা এটা জানতে!

(১) من অব্যয়টি প্রায়শঃ কতক অর্থ জ্ঞাপন করার জন্যে ব্যবহৃত হয়। এই অর্থে আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, ঈমান আনলে তোমাদের কতক গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এর অর্থ আল্লাহ তা'আলার হক সম্পর্কিত গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। কেননা বান্দার হক মাফ হওয়ার জন্যে ঈমান আনার পরও একটি শর্ত আছে। তা এই যে হকটি আদায়যোগ্য হলে তা আদায় করতে হবে; যেমন আর্থিক দায় দেনা এবং আদায় যোগ্য না হলে তা মাফ নিতে হবে যেমন মুখে কিংবা হাতে কাউকে কষ্ট দেয়া। কোন কোন তফসীরবিদ বলেনঃ আয়াতে من অব্যয়টি বর্ণনাসূচক। উদ্দেশ্য এই যে, ঈমান আনলে তোমাদের সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। [দেখুন: ফাতহুল কাদীর]

(২) উদ্দেশ্য এই যে তোমরা ঈমান আনলে আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। বয়সের নির্দিষ্ট মেয়াদের পূর্বে তোমাদেরকে কোন আযাবে ধ্বংস করবেন না। [সা’দী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪) (তাহলে) তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত।[1] নিশ্চয়ই আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত কাল উপস্থিত হলে, তা বিলম্বিত হয় না।[2] যদি তোমরা এটা জানতে!’ [3]

[1] এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, তোমাদের মৃত্যুর যে সময়কাল নির্ধারণ করা আছে, ঈমান আনা অবস্থায় সেটাকে বাড়িয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার আরো অবকাশ দেবেন এবং সেই আযাবকে তোমাদের উপর হতে দূর করে দেবেন, ঈমান না আনার ফলে যার আসাটা তোমাদের উপর অবধারিত ছিল। এই আয়াতকে দলীল বানিয়ে বলা হয় যে, আল্লাহর আনুগত্য, নেকীর কাজ এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায়ে সত্যিকারে আয়ু বৃদ্ধি হয়। হাদীস শরীফেও এসেছে যে, صِلَةُ الرِّحِمِ تَزِيْدُ فِي العُمُرِ অর্থাৎ, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় আয়ু বৃদ্ধি করে। (ইবনে কাসীর) কেউ কেউ বলেন, অবকাশ দেওয়ার মানে, বরকত দেওয়া। ঈমান আনলে আয়ুতে বরকত হবে। আর ঈমান না আনলে এই বরকত থেকে বঞ্চিত হতে হবে।

[2] বরং অবশ্যই তা সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই তোমাদের জন্য এটাই মঙ্গল যে, তোমরা সত্বর ঈমান ও আনুগত্যের পথ অবলম্বন করে নাও। দেরী করলে আল্লাহর প্রতিশ্রুত আযাবে পতিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

[3] অর্থাৎ, যদি তোমাদের জ্ঞান থাকত, তাহলে তোমরা তা সত্বর অবলম্বন করতে, যার আমি তোমাদেরকে নির্দেশ করছি। অথবা যদি তোমরা এই কথা জানতে যে, আল্লাহর আযাব যখন এসে পড়ে, তখন তা রদ্দ হয় না।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান