লগইন করুন
৩৫ সূরাঃ ফাতির | Fatir | سورة فاطر - আয়াত নং - ৪৫ - মাক্কী
আর যদি আল্লাহ মানুষদেরকে তারা যা অর্জন করেছে তার জন্য পাকড়াও করতেন, তাহলে যমীনের উপর একটি প্রাণীকেও তিনি ছেড়ে দিতেন না। কিন্তু তিনি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদেরকে বিলম্বিত করে থাকেন। অতঃপর যখন তাদের সেই নির্দিষ্ট সময় এসে যায় (তখন তিনি তাদের পাকড়াও করেন), কেননা আল্লাহ তো তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা। আল-বায়ান
আল্লাহ মানুষকে তার কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করতে চাইলে ভূপৃষ্ঠের একটি প্রাণীকেও রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি তাদের জন্য একটা নির্ধারিত কাল পর্যন্ত সময় বিলম্বিত করেন। অতঃপর তাদের সে নির্ধারিত সময় যখন এসে যায়, (তখন আল্লাহর ফয়সালা কার্যকরী হতে এক মুহূর্তও বিলম্ব ঘটে না), কারণ আল্লাহ (প্রতিটি মুহূর্তে) তাঁর বান্দাহদের পর্যবেক্ষণকারী। তাইসিরুল
আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দিলে ভূপৃষ্ঠের কোন জীব জন্তুকেই রেহাই দিতেনন।, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর তাদের নির্দিষ্ট কাল এসে গেলে আল্লাহ হবেন তাঁর বান্দাদের সম্যক দ্রষ্টা। মুজিবুর রহমান
And if Allah were to impose blame on the people for what they have earned, He would not leave upon the earth any creature. But He defers them for a specified term. And when their time comes, then indeed Allah has ever been, of His servants, Seeing. Sahih International
৪৫. আর আল্লাহ্ মানুষদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করলে, ভূ-পৃষ্ঠে কোন প্রাণীকেই তিনি রেহাই দিতেন না, কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন তাদের নির্দিষ্ট সময় এসে যাবে, তখন তো আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা।(১)
(১) যেমন অন্য আয়াতে বলেছেন, “আর আল্লাহ্ যদি মানুষকে তাদের সীমালঙ্ঘনের জন্য শাস্তি দিতেন তবে ভূপৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না; কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন তাদের সময় আসে তখন তারা মুহুর্তকাল আগাতে বা পিছাতে পারে না।” [সূরা আন-নাহল: ৬১]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৫) আল্লাহ মানুষকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করলে ভূপৃষ্ঠে কোন জীব-জন্তুকেই রেহাই দিতেন না।[1] কিন্তু তিনি এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন।[2] সুতরাং তাদের নির্দিষ্ট সময় যখন এসে পড়বে, তখন অবশ্যই আল্লাহ তাঁর দাসদের ব্যাপারে সম্যক দ্রষ্টা। [3]
[1] মানুষকে তো তাদের পাপের কারণে এবং জীব-জন্তুকে মানুষের পাপাচরণের কারণে। অথবা উদ্দেশ্য এই যে, পৃথিবীতে বসবাসকারী সকল বস্তুকে ধ্বংস করে দিতেন; মানুষকেও এবং যে সকল জীব-জন্তুর তারা মালিক তাদেরকেও। অথবা উদ্দেশ্য এই যে, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দিতেন, যার ফলে পৃথিবীর উপর বিচরণশীল সকল প্রাণী ও উদ্ভিদই মারা যেত।
[2] এই ‘নির্দিষ্ট কাল’ পৃথিবীতেও হতে পারে এবং কিয়ামতের দিন তো বটেই।
[3] অর্থাৎ, সেই দিন তাদের হিসাব নেবেন এবং সকলকে তাদের কর্মের পূর্ণ প্রাপ্য প্রদান করবেন; ঈমানদার ও অনুগতদেরকে নেকী ও সওয়াব এবং কাফের ও অবাধ্য ব্যক্তিদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন। এতে রয়েছে মু’মিনদের জন্য সান্ত্বনা ও কাফেরদের জন্য শাস্তির ধমক।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান