৩৩ সূরাঃ আল-আহযাব | Al-Ahzab | سورة الأحزاب - আয়াত নং - ৩৮ মাদানী

৩৩ : ৩৮ مَا کَانَ عَلَی النَّبِیِّ مِنۡ حَرَجٍ فِیۡمَا فَرَضَ اللّٰهُ لَهٗ ؕ سُنَّۃَ اللّٰهِ فِی الَّذِیۡنَ خَلَوۡا مِنۡ قَبۡلُ ؕ وَ کَانَ اَمۡرُ اللّٰهِ قَدَرًا مَّقۡدُوۡرَۨا ﴿۫ۙ۳۸﴾

নবীর কোন পাপ হবে না আল্লাহ তার জন্য যা নির্ধারণ* করেছেন তা করলে; পূর্বে যে সব নবী অতিবাহিত হয়েছে তাদের ব্যাপারে এটিই ছিল আল্লাহর নিয়ম। আর আল্লাহর বিধান সুনির্ধারিত, অবশ্যম্ভাবী। আল-বায়ান

আল্লাহ নবীর জন্য যা বিধিবদ্ধ করেছেন তার জন্য তা করতে কোন বাধা নেই। পূর্বে যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান। আল্লাহর বিধান সুনির্ধারণে নির্ধারিত। তাইসিরুল

আল্লাহ নাবীর জন্য যা বিধি সম্মত করেছেন তা করতে তার জন্য কোন বাধা নেই। পূর্বে যে সব নাবী অতীত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান। আল্লাহর বিধান সুনির্ধারিত। মুজিবুর রহমান

There is not to be upon the Prophet any discomfort concerning that which Allah has imposed upon him. [This is] the established way of Allah with those [prophets] who have passed on before. And ever is the command of Allah a destiny decreed. Sahih International

* পালকপুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে বিবাহ করা।

৩৮. নবীর জন্য সেটা (করতে) কোন সমস্যা নেই যা আল্লাহ বিধিসম্মত করেছেন তার জন্য। আগে যারা চলে গেছে তাদের ক্ষেত্রেও এটাই ছিল আল্লাহর বিধান।(১) আর আল্লাহর ফয়সালা সুনির্ধারিত, অবশ্যম্ভাবী।

(১) এ আয়াতের মাধ্যমে এ বিয়ের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সন্দেহসমূহের উত্তরের সূচনা এরূপভাবে করা হয়েছে যে, অন্যান্য পুণ্যবতী স্ত্রীগণ থাকা সত্বেও এ বিয়ের পেছনে কি উদ্দেশ্য নিহিত ছিল? এরশাদ হয়েছে যে, এটা আল্লাহ্ তা'আলার চিরন্তন বিধান যা কেবল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য নির্দিষ্ট নয়; আপনার পূৰ্ববতী নবীগণের কালেই দ্বীনি স্বার্থ ও মঙ্গলামঙ্গলের কথা বিবেচনা করে বহু সংখ্যক স্ত্রীলোককে বিয়ে করার অনুমতি ছিল। যন্মধ্যে দাউদ ও সুলায়মান আলাইহিস সালাম-এর বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। [বাগভী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩৮) আল্লাহ নবীর জন্য যা বিধিবদ্ধ করেছেন, তা করতে তার জন্য কোন বাধা নেই।[1] পূর্বে যে সব নবী অতীত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও এটিই ছিল আল্লাহর বিধান।[2] আল্লাহর বিধান সুনির্ধারিত।[3]

[1] এখানে পূর্বোক্ত ঘটনা যয়নাবের বিয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সুতরাং উক্ত বিয়ে তাঁর জন্য হালাল ছিল। যার ফলে তাতে কোন পাপবোধ বা নিজের মাঝে সংকীর্ণতা বোধ করার কোন কারণ নেই।

[2] অর্থাৎ, পূর্বের নবীগণ সেই কর্মে কোনরূপ সংকীর্ণতা বোধ করতেন না, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁদের উপর ফরয করা হত; যদিও তা জাতি ও জনসাধারণের মাঝে প্রচলিত প্রথার উলটা হত।

[3] অর্থাৎ, (আল্লাহ তাআলার কাজ) এক বিশেষ হিকমত ও কল্যাণের ভিত্তিতে পূর্ণ হয়, দুনিয়ার রাজা-বাদশাদের মত সাময়িক ও আশু প্রয়োজনের তাকীদে হয় না। অনুরূপ তার সময়ও নির্ধারিত থাকে, যা সেই সময় অনুসারেই সংঘটিত হয়।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান