২৮ সূরাঃ আল-কাসাস | Al-Qasas | سورة القصص - আয়াত নং - ৪৬ - মাক্কী

২৮ : ৪৬ وَ مَا كُنۡتَ بِجَانِبِ الطُّوۡرِ اِذۡ نَادَیۡنَا وَ لٰكِنۡ رَّحۡمَۃً مِّنۡ رَّبِّكَ لِتُنۡذِرَ قَوۡمًا مَّاۤ اَتٰىهُمۡ مِّنۡ نَّذِیۡرٍ مِّنۡ قَبۡلِكَ لَعَلَّهُمۡ یَتَذَكَّرُوۡنَ ﴿۴۶﴾

আর যখন আমি (মূসাকে) ডেকেছিলাম তখন তুমি তূর পর্বতের পাশে উপস্থিত ছিলে না। কিন্তু তোমার রবের পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ জানানো হয়েছে, যাতে তুমি এমন কওমকে সতর্ক করতে পার, যাদের কাছে তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি। সম্ভবত তারা উপদেশ গ্রহণ করবে। আল-বায়ান

আমি যখন (মূসাকে) ডাক দিয়েছিলাম তখন তুমি তূর পর্বতের পাশে ছিলে না। কিন্তু (তোমাকে পাঠানো হয়েছে) তোমার প্রতিপালকের রহমতস্বরূপ যাতে তুমি এমন একটি সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার যাদের কাছে তোমার পূর্বে সতর্ককারী পাঠানো হয়নি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। তাইসিরুল

মূসাকে যখন আমি আহবান করেছিলাম তখন তুমি তূর পর্বত-পার্শ্বে উপস্থিত ছিলেনা। বস্তুতঃ এটা তোমার রবের নিকট হতে দয়া স্বরূপ যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার যাদের নিকট তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি, যেন তারা উপদেশ গ্রহণ করে। মুজিবুর রহমান

And you were not at the side of the mount when We called [Moses] but [were sent] as a mercy from your Lord to warn a people to whom no warner had come before you that they might be reminded. Sahih International

৪৬. আর মূসাকে যুখন আমরা ডেকেছিলাম তখনও আপনি তুর পর্বতের পাশে উপস্থিত ছিলেন না।(১) বস্তুত এটা আপনার রব-এর কাছ থেকে দয়াস্বরূপ, যাতে আপনি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারেন, যাদের কাছে আপনার আগে কোন সতর্ককারী আসেনি(২), যেন তারা উপদেশ গ্ৰহণ করে;

(১) অর্থাৎ বনী ইসরাঈলের সত্তর জন প্রতিনিধি যাদেরকে শরীয়াতের বিধান মেনে চলার অংগীকার করার জন্য মূসার সাথে ডাকা হয়েছিল। [ফাতহুল কাদীর]

(২) এখানে কাওম বলে ইসমাঈল আলাইহিস সালামের বংশধর মক্কার আরবদেরকে বোঝানো হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর] ইসমাঈল আলাইহিস সালামের পর থেকে শেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত তাদের মধ্যে কোন নবী প্রেরিত হয়নি। সূরা ইয়াসীনের প্রথমেও এটা এসেছে। কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, (وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خَلَا فِيهَا نَذِيرٌ) অর্থাৎ এমন কোন উম্মত নেই, যাদের কাছে আল্লাহর কোন নবী আসেনি। মক্কার আরবদের নিকটও নবী-রাসূলগণের আগমন ঘটেছিল। তাই এখানে বা এ জাতীয় যেখানেই বলা হয়েছে যে, তাদের কাছে নবী-রাসূল আসেনি তার অর্থ, অদূর অতীতে আগমন না করা।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৬) মূসাকে যখন আমি আহবান করেছিলাম, তখন তুমি ত্বুর পর্বত-পার্শ্বে উপস্থিত ছিলে না।[1] বস্তুতঃ এ সংবাদ তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে করুণাস্বরূপ,[2] যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পার, যাদের নিকট তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসেনি;[3] যেন ওরা উপদেশ গ্রহণ করে।

[1] অর্থাৎ, যদি তুমি সত্য রসূল না হতে, তাহলে মূসার এই ঘটনা তোমার জানার কথা নয়।

[2] অর্থাৎ, তোমার এই জ্ঞান সরাসরি প্রত্যক্ষ ও পরিদর্শন করার ফল নয়; বরং তা তোমার প্রতিপালকের কৃপা যে, তিনি তোমাকে নবী করে প্রেরণ করেছেন এবং অহী দ্বারা সম্মানিত করেছেন।

[3] এ সম্প্রদায় বলতে মক্কা ও আরববাসীদেরকে বুঝানো হয়েছে। যাদের নিকট নবী (সাঃ)-এর পূর্বে কোন নবীর আগমন ঘটেনি। কারণ, ইবরাহীম (আঃ)-এর পর নবুঅতের ধারা তাঁরই বংশেই সীমাবদ্ধ থাকে এবং তাঁদেরকে বানী ইস্রাইলের দিকেই প্রেরণ করা হয়। ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশে অর্থাৎ, আরবের জন্য নবী (সাঃ) ছিলেন প্রথম নবী ও নবীদের সর্বশেষ নবী ছিলেন। এদের নিকট নবী প্রেরণের প্রয়োজন এই জন্যই বোধ করা হয়নি, যেহেতু অন্যান্য নবীদের আহবান ও তাঁদের বাণী তাদের নিকট পৌঁছেছিল। নচেৎ তাদের কুফর ও শিরকের উপর অব্যাহত থাকার ওজর থাকত। অথচ আল্লাহ তাআলা এ রকম ওজর কারোও জন্য অবশিষ্ট রাখেননি।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান