লগইন করুন
২৩ সূরাঃ আল-মুমিনুন | Al-Mu'minun | سورة المؤمنون - আয়াত নং - ৩১ - মাক্কী
তারপর তাদের পরে আমি অন্য প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি। আল-বায়ান
অতঃপর তাদের পর আরেক মানব বংশ (‘আদ সম্প্রদায়কে) সৃষ্টি করেছিলাম। তাইসিরুল
অতঃপর তাদের পর আমি অন্য এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিলাম। মুজিবুর রহমান
Then We produced after them a generation of others. Sahih International
৩১. তারপর আমরা তাদের পরে অন্য এক প্রজন্ম(১) সৃষ্টি করেছিলাম;
(১) কোন কোন মুফাস্সির এখানে সামূদ জাতির কথা বলা হয়েছে বলে মনে করেছেন। কারণ সামনের দিকে গিয়ে বলা হচ্ছেঃ এ জাতিকে ‘সাইহাহ’ তথা প্ৰচণ্ড আওয়াজের আযাবে ধ্বংস করা হয়েছিল এবং কুরআনের অন্যান্য স্থানে বলা হয়েছে, সামূদ এমন একটি জাতি যার উপর এ আযাব এসেছিল। [হূদঃ ৬৭; আল-হিজরঃ ৮৩ ও আল-কামারঃ ৩১]। অন্য কিছু মুফাসসির বলেছেন, এখানে আসলে আদি জাতির কথা বলা হয়েছে। কারণ কুরআনের দৃষ্টিতে নূহের জাতির পরে এ জাতিটিকেই বৃহৎ শক্তিধর করে সৃষ্টি করা হয়েছিল। [দেখুনঃ আল-আরাফঃ ৬৯]
এ দ্বিতীয় মতটিই অধিক গ্রহণযোগ্য বলা যায়। কারণ “নূহের জাতির পরে” শব্দাবলী এ দিকেই ইংগিত করে। আর ‘সাইহাহ’ (প্রচণ্ড আওয়াজ, চিৎকার, শোরগোল, মহাগোলযোগ) এর সাথে যে সম্বন্ধ স্থাপন করা হয়েছে নিছক এতটুকু সম্বন্ধই এ জাতিকে সামূদ গণ্য করার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ এ শব্দটি সাধারণ ধ্বংস ও মৃত্যুর জন্য দায়ী বিকট ধ্বনির জন্য যেমন ব্যবহার হয় তেমনি ধ্বংসের কারণ যা-ই হোক না কেন ধ্বংসের সময় যে শোরগোল ও মহা গোলযোগের সৃষ্টি হয় তার জন্যও ব্যবহার হয়। [দেখুনঃ ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩১) অতঃপর তাদের পর আমি অন্য এক সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিলাম। [1]
[1] অধিকাংশ মুফাসসিরগণের নিকট নূহ (আঃ)-এর জাতির পর যে জাতির পৃথিবীতে আগমন ঘটেছে ও তাদের মধ্যে আল্লাহ রসূল প্রেরণ করেন, তারা হল আদ জাতি। কারণ, অধিকাংশ স্থানে নূহ (আঃ)-এর জাতির স্থলাভিষিক্ত হিসাবে আদ জাতিরই নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন, তারা হল সামূদ জাতি। কারণ তাদের ধ্বংসের বর্ণনায় বলা হয়েছে صَيحَة (বিকট শব্দ) তাদেরকে আঘাত করেছিল। আর এ আযাব সামূদ জাতিকেই দেওয়া হয়েছিল। পক্ষান্তরে অন্য অনেকে বলেন, তারা ছিল শুআইব (আঃ)-এর জাতি মাদয়্যানবাসী। কারণ তাদেরকেও বিকট শব্দ দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান