কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

১০৩ সূরাঃ আল-আসর | Al-Asr | سورة العصر - আয়াত নং - ১ - মাক্কী

১০৩ : ১ وَ الۡعَصۡرِ ۙ﴿۱﴾

সময়ের কসম, আল-বায়ান

কালের শপথ তাইসিরুল

মহাকালের শপথ! মুজিবুর রহমান

By time, Sahih International

১. সময়ের শপথ(১),

(১) আয়াতের প্রথমেই সময় বা যুগের শপথ করা হয়েছে। এখানে প্ৰণিধানযোগ্য বিষয় এই যে, বিষয়বস্তুর সাথে সময় বা যুগের কি সম্পর্ক, যার কসম করা হয়েছে? কসম ও কসমের জওয়াবের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। অধিকাংশ তাফসীরবিদ বলেন, মানুষের সব কর্ম, গতিবিধি, উঠাবসা ইত্যাদি সব যুগের মধ্যে সংঘটিত হয়। সূরায় যেসব কর্মের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেগুলোও এই যুগ-কালেরই দিবা-রাত্রিতে সংঘটিত হবে। এরই প্রেক্ষিতে যুগের শপথ করা হয়েছে। [সা’দী, ইবন কাসীর] কোন কোন আলেম বলেন, আল্লাহ তা'আলার মহত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব, প্রজ্ঞা ও কুদরতের প্রমাণ-নিদর্শন সময় বা যুগেই রয়েছে; তাই এখানে সময়ের শপথ করা হয়েছে। [মুয়াস্‌সার, বাদায়িউত তাফসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

১। মহাকালের শপথ। [1]

[1] ‘মহাকাল’ বলতে দিবারাত্রির আবর্তন-বিবর্তনকে বুঝানো হয়েছে। রাত্রি উপনীত হলে অন্ধকার ছেয়ে যায়। আর দিন প্রকাশ পেতেই সমস্ত জিনিস উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এ ছাড়া রাত কখনো লম্বা আর দিন ছোট, আবার দিন কখনো লম্বা আর রাত ছোট হয়ে থাকে। এই দিবারাত্রি অতিবাহিত হওয়ার নামই হল কাল, যুগ বা সময়; যা আল্লাহর কুদরত (শক্তি) ও কারিগরি ক্ষমতা প্রমাণ করে। আর এ জন্যই তিনি কালের কসম খেয়েছেন। পূর্বেই বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পাক নিজ সৃষ্টির যে কোন বস্তুর কসম খেতে পারেন। কিন্তু মানুষের জন্য আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারোর নামে কসম খাওয়া বৈধ নয়।

(অনেকের মতে العَصر মানে আসরের সময় বা নামায। বলা বাহুল্য মহান সৃষ্টিকর্তা সেই জিনিসেরই কসম খেয়ে থাকেন, যার বড় গুরুত্ব আছে। - সম্পাদক)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান