কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৬৮ সূরাঃ আল-কলম | Al-Qalam | سورة القلم - আয়াত নং - ৪২ - মাক্কী

৬৮ : ৪২ یَوۡمَ یُكۡشَفُ عَنۡ سَاقٍ وَّ یُدۡعَوۡنَ اِلَی السُّجُوۡدِ فَلَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ ﴿ۙ۴۲﴾

সে দিন পায়ের গোছা* উন্মোচন করা হবে। আর তাদেরকে সিজদা করার জন্য আহবান জানানো হবে, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না। আল-বায়ান

যেদিন (ক্বিয়ামতে) পায়ের গোছা (হাঁটুর নিম্নভাগ) উন্মোচিত হবে আর তাদেরকে ডাকা হবে সেজদা করার জন্য, কিন্তু তারা সেজদা করতে সক্ষম হবে না। তাইসিরুল

স্মরণ কর, গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা, সেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সাজদাহ করার জন্য, কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবেনা। মুজিবুর রহমান

The Day the shin will be uncovered and they are invited to prostration but the disbelievers will not be able, Sahih International

*এ কথার ব্যাপারে ইমাম বুখারী একটি হাদীস বর্ণনা করেন। তা হল, আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের রব তাঁর পায়ের গোছা উন্মুক্ত করবেন, তখন প্রত্যেক মুমিন নর-নারী তাঁকে সিজদা করবে...।

৪২. স্মরণ করুন, সে দিনের কথা যেদিন পায়ের গোছা উন্মোচিত করা হবে(১), সেদিন তাদেরকে ডাকা হবে সিজদা করার জন্য, কিন্তু তারা সক্ষম হবে না;

(১) আয়াতে বলা হয়েছে, “যেদিন পায়ের গোছা উম্মোচিত করা হবে”। পায়ের গোছা উম্মোচিত করার এক অর্থ অবস্থা কঠিন হওয়াও হয়। আর তখন অর্থ হবে, যেদিন মানুষের অবস্থা অত্যন্ত কঠিন হবে। [বাগভী; ফাতহুল কাদীর] কিন্তু এ আয়াতের তাফসীরে সহীহ হাদীসে স্পষ্ট এসেছে যে, এখানে মহান আল্লাহর “পায়ের গোছা” বোঝানো হয়েছে। আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমাদের রব তাঁর পায়ের গোছা” অনাবৃত করবেন, ফলে প্রতিটি মুমিন নর ও নারী তাঁর জন্য সিজদাহ করবেন। পক্ষান্তরে যারা দুনিয়াতে প্রদর্শনেচ্ছা কিংবা শুনানোর উদ্দেশ্যে সিজদাহ করেছিল, তারা সিজদাহ করতে সক্ষম হবে না। তারা সিজদাহ করতে যাবে কিন্তু তাদের পিঠ বাঁকা হবে না।” [বুখারী: ৪৯১৯]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪২) (স্মরণ কর,) যেদিন পদনালী উন্মোচন করা হবে এবং তাদেরকে সিজদা করার জন্য আহবান করা হবে; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। [1]

[1] কেউ কেউ পায়ের রলা, গোছা বা পদনালী খোলা থেকে কিয়ামতের দিনের কঠোরতা ও ভয়াবহতা বুঝিয়েছেন। কিন্তু একটি সহীহ হাদীসে এর ব্যাখ্যা এইরূপ বর্ণনা হয়েছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা নিজ পদনালী উন্মোচন করবেন (যেভাবে উন্মোচন করা তাঁর সত্তার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ)। তখন প্রতিটি মু’মিন নর-নারী তাঁর সামনে সিজদায় পড়ে যাবে। তবে তারা সিজদা করতে পারবে না, যারা দুনিয়াতে লোক দেখানো বা সুনাম লাভের জন্য সিজদা করত। তারা সিজদা করতে চাইবে; কিন্তু তাদের পিঠ পাটার মত এমন শক্ত হয়ে যাবে যে, তা ঝুঁকানো সম্ভব হবে না। (বুখারীঃ সূরা ক্বালামের ব্যাখ্যা পরিচ্ছেদ) মহান আল্লাহর পায়ের গোছা কেমন? তা কিভাবে তিনি খুলবেন? এর প্রকৃত রূপ আমরা জানিও না এবং এ ব্যাপারে কিছু বলতেও পারব না। কাজেই যেরূপ আমরা কোন ধরন-গঠন ও সাদৃশ্য আরোপ না করে তাঁর হাত, পা ইত্যাদির উপর ঈমান রাখি, অনুরূপ তাঁর পায়ের গোছার কথা যেহেতু কুরআন ও হাদীসে উল্লিখিত হয়েছে, বিধায় কোন অপব্যাখ্যা ও কোন ধরন-গঠন জানার চেষ্টা ছাড়াই তার উপরও ঈমান রাখা আবশ্যক। সালফে স্বালেহীন এবং মুহাদ্দিসগণের এটাই মত ও বিশ্বাস।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান