কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৫৫ সূরাঃ আর-রাহমান | Ar-Rahman | سورة الرحمن - আয়াত নং - ১৫ মাদানী

৫৫ : ১৫ وَ خَلَقَ الۡجَآنَّ مِنۡ مَّارِجٍ مِّنۡ نَّارٍ ﴿ۚ۱۵﴾

আর তিনি জিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন অগ্নিশিখা থেকে। আল-বায়ান

আর জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াবিহীন আগুন হতে। তাইসিরুল

আর জিনকে সৃষ্টি করেছেন নির্ধূম অগ্নিশিখা হতে। মুজিবুর রহমান

And He created the jinn from a smokeless flame of fire. Sahih International

১৫. এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন নির্ধূৰ্ম আগুনের শিখা থেকে।(১)

(১) جان এর অর্থ জিন জাতি। مارج এর অর্থ অগ্নিশিখা। জিন সৃষ্টির প্রধান উপাদান অগ্নিশিখা, যেমন মানব সৃষ্টির প্রধান উপাদান মৃত্তিকা। نار অর্থ এক বিশেষ ধরনের আগুন। কাঠ বা কয়লা জ্বালালে যে আগুন সৃষ্টি হয় এটা সে আগুন নয়। আর অর্থ ধোঁয়াবিহীন শিখা। [কুরতুবী; ফাতহুল কাদীর] এ কথার অর্থ হচ্ছে প্রথম মানুষকে যেভাবে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তারপর সৃষ্টির বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করার সময় তার মাটির সত্তা অস্থি-মাংসে তৈরী জীবন্ত মানুষের আকৃতি লাভ করেছে এবং পরবর্তী সময়ে শুক্রের সাহায্যে তার বংশধারা চালু আছে। অনুরূপ প্রথম জিনকে নিছক আগুনের শিখা থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং তার বংশধরদের থেকে পরবর্তী সময়ে জিনদের অধস্তন বংশধররা সৃষ্টি হয়ে চলেছে। মানব জাতির জন্য আদমের মর্যাদা যা, জিন জাতির জন্য সেই প্রথম জিনের মর্যাদাও তাই। জীবন্ত মানুষ হয়ে যাওয়ার পর আদম এবং তার বংশ থেকে জন্ম লাভকারী মানুষের দেহের সেই মাটির সাথে যেমন কোন মিল থাকলো না জিনদের ব্যাপারটাও তাই। তাদের সত্তাও মুলত আগুনের সত্তা। কিন্তু আমরা যেমন মাটির স্তুপ নই, অনুরূপ তারাও শুধু অগ্নি শিখা নয়। [দেখুন: আদওয়াউল বায়ান]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৫) এবং জ্বিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে। [1]

[1] এ থেকে উদ্দেশ্য সর্বপ্রথম জ্বিন। সে হল আবুল জ্বিন তথা জ্বিনদের (আদি) পিতা। অথবা জ্বিন এখানে ‘জিন্‌স’ (জাতি) হিসাবে ব্যবহূত হয়েছে। যেমন অনুবাদও ‘জাতি’ অর্থে করা হয়েছে। مَارِجٍ বলা হয়, আগুন থেকে উঁচু হয়ে ওঠা শিখাকে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান