কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৪৩ সূরাঃ আয-যুখরুফ | Az-Zukhruf | سورة الزخرف - আয়াত নং - ৪৫ - মাক্কী

৪৩ : ৪৫ وَ سۡـَٔلۡ مَنۡ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ قَبۡلِكَ مِنۡ رُّسُلِنَاۤ اَجَعَلۡنَا مِنۡ دُوۡنِ الرَّحۡمٰنِ اٰلِـهَۃً یُّعۡبَدُوۡنَ ﴿۴۵﴾

আর তোমার পূর্বে আমি রাসূলগণ থেকে যাদের প্রেরণ করেছিলাম তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখ, আমি কি রহমানের পরিবর্তে অন্য কোন উপাস্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম, যাদের ইবাদাত করা যাবে? আল-বায়ান

আমি তোমার পূর্বে যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞেস কর (অর্থাৎ তাদের কিতাব দেখ ও তাদের সত্যিকার অনুসারীদের নিকট যাচাই কর) আমি কি দয়াময় আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ স্থির করেছিলাম যাদের ‘ইবাদাত করতে হবে? তাইসিরুল

তোমার পূর্বে আমি যে সব রাসূল প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে তুমি জিজ্ঞেস কর, আমি কি দয়াময় আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য স্থির করেছিলাম যার ইবাদাত করা যায়? মুজিবুর রহমান

And ask those We sent before you of Our messengers; have We made besides the Most Merciful deities to be worshipped? Sahih International

৪৫. আর আপনার পূর্বে আমরা আমাদের রাসূলগণ থেকে যাদেরকে প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, আমরা কি রহমান ছাড়া ইবাদাত করা যায় এমন কোন ইলাহ স্থির করেছিলাম?(১)

(১) এখানে প্রশ্ন হয় যে, পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণ তো মারা গেছেন। তাদেরকে জিজ্ঞেস করার আদেশ কিরূপে দেয়া হল? অধিকাংশ তফসীরবিদের মতে আয়াতের অর্থ এই যে, নবী-রাসূলগণের অনুসারীদের জিজ্ঞেস করুন। কোন কোন বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইসরা ও মি'রাজের রাত্রে নবী-রাসূলদেরকে এ প্রশ্ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। [বাগভী, ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৫) তোমার পূর্বে আমি যে সব রসূল প্রেরণ করেছিলাম, তাদেরকে তুমি জিজ্ঞাসা কর,[1] পরম দয়াময় কি তিনি ব্যতীত ওদের জন্য কোন দেবতা স্থির করেছিলেন, যার উপাসনা করা হত?[2]

[1] নবীদেরকে এ প্রশ্ন হয়তো ইসরা ও মি’রাজের সময় বায়তুল মুক্বাদ্দাসে অথবা আসমানে করা হয়েছিল, যেখানে সমস্ত নবীদের সাথে রসূল (সাঃ)-এর সাক্ষাৎ হয়েছিল। অথবা এখানে أَتْبَاعَ শব্দ ঊহ্য আছে। অর্থাৎ, তাঁদের অনুসারীদের (ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদের)-কে জিজ্ঞাসা কর। কেননা, তারা তাঁদের যাবতীয় শিক্ষা সম্পর্কে অবগত আছে এবং তাঁদের উপর অবতীর্ণকৃত কিতাবগুলোও তাদের কাছে বিদ্যমান।

[2] উত্তর অবশ্যই নেতিবাচক হবে। আল্লাহ কোন নবীকেই এই নির্দেশ দেননি। বরং এর বিপরীত প্রত্যেক নবীকে তাওহীদের প্রতি আহবান করারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান