কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৩৮ সূরাঃ সোয়াদ | Ṣād | سورة ص - আয়াত নং - ৩৫ - মাক্কী

৩৮ : ৩৫ قَالَ رَبِّ اغۡفِرۡ لِیۡ وَ هَبۡ لِیۡ مُلۡکًا لَّا یَنۡۢبَغِیۡ لِاَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِیۡ ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ ﴿۳۵﴾

সুলাইমান বলল, ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। নিশ্চয়ই আপনি বড়ই দানশীল। আল-বায়ান

সে বলল- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আর আমাকে এমন রাজ্য দান কর যা আমার পরে আর কারো জন্য শোভনীয় হবে না। তুমি হলে পরম দাতা। তাইসিরুল

সে বললঃ হে আমার রাব্ব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং এমন এক রাজ্য দান করুন যার অধিকারী আমি ছাড়া আর কেহ না হয়। আপনিতো পরম দাতা। মুজিবুর রহমান

He said, "My Lord, forgive me and grant me a kingdom such as will not belong to anyone after me. Indeed, You are the Bestower." Sahih International

৩৫. তিনি বললেন, হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য(১) যা আমার পর আর কারও জন্যই প্রযোজ্য হবে না। নিশ্চয় আপনি পরম দাতা।

(১) অধিকাংশ তাফসীরবিদের মতে এ দোআর অর্থ এই যে, আমার পরেও কেউ যেন এরূপ সাম্রাজ্যের অধিকারী না হয়। সুতরাং বাস্তবেও তাই দেখা যায় যে, সুলাইমান আলাইহিস সালাম-কে যেরূপ সাম্রাজ্য দান করা হয়েছিল, তেমন রাজত্বের অধিকারী পরবর্তীকালে কেউ হতে পারেনি। কেননা, বাতাস অধীনস্থ হওয়া, জিন জাতি বশীভূত হওয়া এগুলো পরবর্তীকালে কেউ লাভ করতে পারেনি। সুলাইমান আলাইহিস সালাম জিনদের উপর যেরূপ সর্বব্যাপী রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তদ্রূপ কেউ কায়েম করতে পারেনি। এক হাদীসে এসেছে, এক দুষ্ট জিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত নষ্ট করতে চাইলে তিনি সেটাকে বেঁধে রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুলাইমান আলাইহিস সালামের এ দোআর কথা স্মরণ করে তার সম্মানে তা করা ত্যাগ করেন। [দেখুন: বুখারী: ৩৪২৩]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩৫) সে বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর এবং আমাকে এমন এক রাজ্য দান কর, যার অধিকারী আমার পরে অন্য কেউ হতে পারবে না।[1] নিশ্চয়ই তুমি মহাদাতা।’

[1] অর্থাৎ, তোমার হিকমত ও ইচ্ছায় আমার মুজাহিদ বাহিনী জন্ম দানের আশা পূর্ণ হয়নি, কিন্তু যদি আমাকে এমন স্বচ্ছন্দ সাম্রাজ্য দান কর, যা আমি ছাড়া বা আমার পরে ঐরূপ সাম্রাজ্যের মালিক অন্য কেউ না হয়, তাহলে সন্তানের প্রয়োজনই থাকবে না। এই দু’আও আল্লাহ তাআলার দ্বীনকে সমুন্নত করার উদ্দেশ্যেই ছিল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান