২৮ সূরাঃ আল-কাসাস | Al-Qasas | سورة القصص - আয়াত নং - ৩৭ - মাক্কী
আর মূসা বলল, ‘আমার রব সম্যক অবগত আছেন, কে তাঁর কাছ থেকে হিদায়াত নিয়ে এসেছে এবং আখিরাতে কার পরিণাম শুভ হবে। নিশ্চয় যালিমরা সফল হবে না’। আল-বায়ান
মূসা বলল- ‘আমার প্রতিপালক বেশ ভাল ক’রেই জানেন কে তাঁর নিকট থেকে পথ নির্দেশ নিয়ে এসেছে এবং কার পরিণাম আখিরাতে শুভ হবে। যালিমরা কক্ষনো সাফল্য লাভ করবে না।’ তাইসিরুল
মূসা বললঃ আমার রাব্ব সম্যক অবগত, কে তাঁর নিকট হতে পথ নির্দেশ নিয়ে এসেছে, এবং আখিরাতে কার পরিণাম শুভ হবে। নিশ্চয়ই যালিমরা সফলকাম হবেনা। মুজিবুর রহমান
And Moses said, "My Lord is more knowing [than we or you] of who has come with guidance from Him and to whom will be succession in the home. Indeed, wrongdoers do not succeed." Sahih International
৩৭. আর মূসা বললেন, আমার রব সম্যক অবগত, কে তার কাছ থেকে পথনির্দেশ এনেছে এবং আখেরাতে কার পরিণাম শুভ হবে। যালিমরা তো কখনো সফলকাম হবে না।(১)
(১) অর্থাৎ আমার রব আমার অবস্থা ভালো জানেন। তিনি জানেন তাঁর পক্ষ থেকে যাকে রাসূল নিযুক্ত করা হয়েছে সে কেমন লোক। পরিণামের ফায়সালা তাঁরই হাতে রয়েছে। তিনিই তোমাদের ও আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবেন। তিনিই জানেন কার জন্য তিনি আখেরাতের সুন্দর পরিণাম নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৭) মূসা বলল, আমার প্রতিপালক সম্যক অবগত, কে তাঁর নিকট থেকে পথনির্দেশ এনেছে[1] এবং (পরকালে) কার পরিণাম শুভ হবে।[2] নিশ্চয় সীমালংঘনকারীরা সফলকাম হবে না। [3]
[1] অর্থাৎ, তোমার ও আমার চেয়ে আল্লাহই হিদায়াতের ব্যাপারে অধিক জ্ঞাত। অতএব যে কথা আল্লাহর পক্ষ হতে আসবে সে কথা সত্য হবে, নাকি তোমাদের ও তোমাদের বাপ-দাদাদের কথা?
[2] শুভ-পরিণাম বলতে পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর দয়া এবং ক্ষমার যোগ্য হওয়া। আর এ যোগ্যতা একমাত্র তওহীদপন্থীদেরই লাভ হবে।
[3] ظَالِم (সীমালংঘনকারী) বলতে কাফের ও মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে। কারণ আরবীতে ظلم এর অর্থ وضع الشيء في غير محله কোন জিনিসকে তার নিজের জায়গায় না রেখে অন্য জায়গায় রাখা। মুশরিক যেহেতু আল্লাহর জায়গায় এমন কিছুকে মাবূদ বানিয়ে দেয় যারা ইবাদতের যোগ্য নয়। অনুরূপ কাফেররাও প্রতিপালকের আসল স্থান সম্বন্ধে অনভিজ্ঞ থাকে। সেই জন্য এরাই সব থেকে বড় সীমালংঘনকারী, অনাচারী ও অত্যাচারী। আর এরা পরকালে সফলতা হতে; অর্থাৎ, আল্লাহর অনুগ্রহ, দয়া ও ক্ষমা হতে বঞ্চিত হবে। এই আয়াত থেকেও জানা গেল যে, সব চেয়ে বড় সফলতা পরকালের সফলতা। পৃথিবীর সুখ-শান্তি, ধন-সম্পদের আধিক্য সত্যিকার সফলতা নয়। কারণ, এ সাময়িক সফলতা পৃথিবীতে মুশরিক-কাফের সকলের ভাগ্যেই জোটে। কিন্তু মহান আল্লাহ তাদের সফলতার কথা খন্ডন করেছেন, যাতে এ কথা স্পষ্ট হয় যে, সত্যিকার সফলতা পরকালের চিরস্থায়ী সফলতা; পৃথিবীর কয়েক দিনের অস্থায়ী সুখ-শান্তি এবং ধন-সম্পদ প্রকৃত সফলতা নয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান