২৩ সূরাঃ আল-মুমিনুন | Al-Mu'minun | سورة المؤمنون - আয়াত নং - ৬২ - মাক্কী
আর আমি কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোন দায়িত্ব দেই না। আমার নিকট আছে এমন কিতাব যা সত্য কথা বলে এবং তারা অত্যাচারিত হবে না। আল-বায়ান
আমি কাউকে তার সাধ্যাতীত কষ্ট দেই না, আর আমার কাছে এমন এক কিতাব আছে যা সত্য বলে, আর তাদের প্রতি মোটেই যুলম করা হবে না। তাইসিরুল
আমি কেহকেও তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পন করিনা এবং আমার নিকট আছে এক কিতাব যা সত্য ব্যক্ত করে এবং তাদের প্রতি যুল্ম করা হবেনা। মুজিবুর রহমান
And We charge no soul except [with that within] its capacity, and with Us is a record which speaks with truth; and they will not be wronged. Sahih International
৬২. আর আমরা কাউকেও তার সাধ্যের বেশী দায়িত্ব দেই না। আর আমাদের কাছে আছে এমন এক কিতাব(১) যা সত্য ব্যক্ত করে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না।
(১) কোন কোন মুফাস্সিরের মতে, কিতাব বলে এখানে আমলনামাকে বুঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর] প্রত্যেক ব্যক্তির এ আমলনামা পৃথক পৃথকভাবে তৈরী হচ্ছে। তার প্রত্যেকটি কথা, প্রত্যেকটি নড়াচড়া এমনকি চিন্তা-ভাবনা ও ইচ্ছা-সংকল্পের প্ৰত্যেকটি অবস্থা পর্যন্ত তাতে সন্নিবেশিত হচ্ছে। এ সম্পর্কেই বলা হয়েছে, “আর আমলনামা সামনে রেখে দেয়া হবে। তারপর তোমরা দেখবে অপরাধীরা তার মধ্যে যা আছে তাকে ভয় করতে থাকবে এবং বলতে থাকবে, হায়, আমাদের দুভাগ্য! এ কেমন কিতাব, আমাদের ছোট বা বড় এমন কোন কাজ নেই যা এখানে সন্নিবেশিত হয়নি। তারা যে যা কিছু করেছিল সবই নিজেদের সামনে হাজির দেখতে পাবে। আর তোমার রব কারোর প্রতি জুলুম করেন না।” [সূরা আল-কাহফ: ৪৯] অন্য আয়াতে এসেছে, “এই আমাদের লেখনি, যা তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেবে সত্যভাবে। নিশ্চয় তোমরা যা আমল করতে তা আমরা লিপিবদ্ধ করেছিলাম।” [সূরা আলজাসিয়াহ: ২৯] আবার কোন কোন মুফাসসির এখানে কিতাব অর্থ কুরআন গ্রহণ করেছেন। [ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৬২) আমি কাউকেও তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করি না[1] এবং আমার নিকট আছে এক গ্রন্থ; যা সত্য ব্যক্ত করে এবং তাদের প্রতি যুলুম করা হবে না ।
[1] এই ধরনের অর্থ সুরা বাকারার শেষ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান