কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

২২ সূরাঃ আল-হজ্জ | Al-Hajj | سورة الحج - আয়াত নং - ২৪ মাদানী

২২ : ২৪ وَ هُدُوۡۤا اِلٰی الطَّیِّبِ مِنَ الۡقَوۡلِ ۚۖ وَ هُدُوۡۤا اِلَی صِرَاطِ الۡحَمِیۡدِ ﴿۲۴﴾

তাদেরকে পবিত্র বাণীর দিকে পরিচালনা করা হয়েছিল এবং তাদেরকে মহা প্রশংসিত আল্লাহর পথ দেখানো হয়েছিল। আল-বায়ান

তাদেরকে (দুনিয়ার জীবনে) পথ দেখানো হয়েছিল পবিত্র বাক্যের (অর্থাৎ কালিমা তাইয়্যেবা বা আল-কুরআনের) দিকে আর তারা পরিচালিত হয়েছিল তাঁর পথে যিনি সকল প্রশংসার দাবীদার। তাইসিরুল

তাদেরকে পবিত্র বাক্যের অনুগামী করা হয়েছিল এবং তারা পরিচালিত হয়েছিল পরম প্রশংসা ভাজন (আল্লাহর) পথে। মুজিবুর রহমান

And they had been guided [in worldly life] to good speech, and they were guided to the path of the Praiseworthy. Sahih International

২৪. আর তাদেরকে পবিত্র বাক্যের অনুগামী করা হয়েছিল(১) এবং তারা পরিচালিত হয়েছিল পরম প্রশংসিত আল্লাহর পথে।

(১) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ এখানে কালেমা তাইয়্যেবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু বোঝানো হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর] কোন কোন বর্ণনায় কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আলহামদুলিল্লাহ। [কুরতুবী] কারও কারও নিকট, আল-কুরআনের প্রতি তাদেরকে পথ দেখানো হবে। এজন্যই বলা হয় যে, এখানে দুনিয়ায় পথ দেখানো উদ্দেশ্য। সুতরাং দুনিয়াতে তাদেরকে কালেমায়ে শাহাদাত এবং কুরআন পড়ার প্রতি পথনির্দেশ করা হয়েছিল। [কুরতুবী]

কোন কোন মুফাস্‌সির বলেন, এখানে উত্তম বাণী বলে আখেরাতের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ আখেরাতে তাদেরকে “আলহামদুলিল্লাহ” বলার প্রতি হেদায়াত করা হবে। কেননা তারা জান্নাতে বলবে, “যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে এ পথের হিদায়াত করেছেন।” [সূরা আল-আরাফ: ৪৩] “আর তারা বলবে, প্ৰশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের দুঃখ-দুৰ্দশা দূরীভূত করেছেন”। [সূরা ফাতির: ৩৪] সুতরাং জান্নাতে কোন খারাপ কথা ও মিথ্যা বা অসার শোনা যাবে না। তারা যাই বলবে তা-ই ভাল কথা। আর তারা জান্নাতে আল্লাহর পথেই চলবে, কারণ সেখানে আল্লাহর নির্দেশের বিরোধী কোন কিছু থাকবে না। কারও কারও মতে, আয়াতে উত্তম কথা বলে সে সমস্ত কথা বোঝানো হয়েছে যা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের কাছে উত্তম সুসংবাদ আকারে প্রদান করা হয়ে থাকে। [কুরতুবী]

আর প্রশংসিতের পথে বলে এমন স্থানের কথা বলা হয়েছে যেখানে তারা তাদের রাবের প্রশংসা করবে। কারণ তিনি তাদের প্রতি দয়া করেছেন, নেয়ামত দিয়েছেন অর্থাৎ জান্নাত। যেমন হাদীসে এসেছে, “তাদের প্রতি তাসবীহ ও তাহমীদ পাঠ করার ইলহাম হবে যেমন দুনিয়াতে কেউ শ্বাস-প্ৰশ্বাস নিয়ে থাকে।” [মুসনাদে আহমাদ ৩/৩৮৪] অপর কারও মতে, এখানে দুনিয়াতে সিরাতুল মুস্তাকীম প্রাপ্তির কথা বোঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৪) তাদেরকে পবিত্র বাক্যের দিকে পথনির্দেশ করা হবে[1] এবং তারা পরিচালিত হবে পরম প্রশংসাভাজন আল্লাহর পথে। [2]

[1] অর্থাৎ, জান্নাত এমন একটি স্থান; যেখানে কেবল পবিত্র ও সভ্য কথাই হবে, সেখানে অশ্লীল, পাপ ও অসভ্য কথা উচ্চারিত হবে না।

[2] অর্থাৎ, তাদেরকে এমন জায়গার দিকে পথনির্দেশ করা হবে, যেখানে শুধু আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা-ধ্বনিই চতুর্দিকে ধ্বনিত হবে। আর যদি এর সম্পর্ক পৃথিবীর সাথে হয়, তাহলে এর অর্থ (অতীতকালের) হবে, অর্থাৎ দুনিয়ায় তাদেরকে কুরআন ও ইসলামের পথে পরিচালিত করা হয়েছিল।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান