কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

২১ সূরাঃ আল-আম্বিয়া | Al-Anbiya | سورة الأنبياء - আয়াত নং - ৪৩ - মাক্কী

২১ : ৪৩ اَمۡ لَهُمۡ اٰلِهَۃٌ تَمۡنَعُهُمۡ مِّنۡ دُوۡنِنَا ؕ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ نَصۡرَ اَنۡفُسِهِمۡ وَ لَا هُمۡ مِّنَّا یُصۡحَبُوۡنَ ﴿۴۳﴾

আমি ছাড়া তাদের কি এমন কোন দেব-দেবী আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? তারা তো নিজদেরকেই সাহায্য করতে সক্ষম নয় এবং আমার বিরুদ্ধে তারা কোন সঙ্গীও পাবে না।* আল-বায়ান

তবে কি তাদের এমন দেবদেবী আছে যা তাদেরকে রক্ষা করবে আমার (প্রতিরক্ষা) ছাড়াই? তারা তো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারে না, আর তারা আমার বিরুদ্ধে কোন প্রতিরক্ষাও পাবে না। তাইসিরুল

তাহলে কি আমি ব্যতীত তাদের এমন আরাধ্য আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? তারাতো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারেনা এবং আমার বিরুদ্ধে তাদের সাহায্যকারীও থাকবেনা। মুজিবুর রহমান

Or do they have gods to defend them other than Us? They are unable [even] to help themselves, nor can they be protected from Us. Sahih International

* يصحبون এর অর্থ-তারা সঙ্গী পাবে না। ইবন আববাস (রাঃ) বলেন, এখানে এর অর্থ হল يجارون অর্থাৎ আল্লাহর শাস্তি হতে মুক্তি পেতে তাদেরকে সাহায্য করবে এমন কাউকে তারা পাবে না।

৪৩. তবে কি তাদের এমন কতেক ইলাহাও আছে যারা আমাদের থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? এরা তো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারে না এবং আমাদের থেকে তাদের আশ্রয়দানকারীও হবে না।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৩) তবে কি আমি ব্যতীত তাদের এমন উপাস্যও আছে, যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? [1] তারা তো নিজেদেরকেই সাহায্য করতে পারে না এবং আমার (শাস্তি) হতে তাদেরকে রক্ষা করা হবে না।[2]

[1] তোমাদের কাজ-কারবার এমন যে, দিন-রাত্রির যে কোন সময়ে তোমাদের উপর আল্লাহর আযাব আসতে পারে। সেই আযাব হতে তোমাদেরকে দিনে-রাতে কে রক্ষা করছে? আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ আছে কি, যে তোমাদেরকে আল্লাহর আযাব ও গযব হতে রক্ষা করতে পারে?

[2] এর অর্থ হল, তারা আমার আযাব হতে রক্ষা পাবে না; অর্থাৎ, তারা নিজেদেরকে সাহায্য করতে ও আল্লাহর আযাব হতে মুক্ত করতে সক্ষম নয়, তাহলে তারা অপরের সাহায্য করবে কিভাবে? অথবা অপরকে আযাব থেকে বাঁচাবে কিভাবে?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান