পরিচ্ছেদঃ সূর্য গ্রহণের এই ধরণের সালাতে ছয় রুকূ‘ ও চার সাজদার মাধ্যমে দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করা আবশ্যক
২৮৩৩. জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে সূর্য গ্রহণ লাগে। এটা হয় যেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছেলে ইবরাহিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মারা যায়। তখন লোকজন বলতে থাকে, “ইবরাহিম মারা যাওয়ার কারণে সূর্য গ্রহণ লেগেছে।”
তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ান এবং ছয়টি রুকূ‘ ও চারটি সাজদা করেন। তিনি তাকবীর দেন এবং দীর্ঘক্ষন কিরাআত পাঠ করেন। তারপর প্রায় কিয়ামের মতো রুকূ‘ করেন। তারপর রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর তিনি কিরাআত পাঠ করেন, তবে তা প্রথম কিরা‘আত অপেক্ষা কম। তারপর তিনি কিরা‘আত সমপরিমাণ রুকূ‘ করেন। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর তিনি কিরাআত পাঠ করেন, তবে তা দ্বিতীয় কিরা‘আত অপেক্ষা কম। তারপর তিনি কিরা‘আত সমপরিমাণ রুকূ‘ করেন। তারপর তিনি রুকূ‘ থেকে মাথা উত্তোলন করেন। তারপর তিনি দুটি সাজদা করেন। তারপর তিনি আবার দাঁড়ান। তারপর তিনি সাজদা করার আগে তিনটি রুকূ‘ করেন। প্রতিটি রাকা‘আতে আগের রাকা‘আত পরের রাকা‘আত অপেক্ষা দীর্ঘ ছিল। অবশ্য তাঁর রুকূ‘ তাঁর কিয়ামের প্রায় সমপরিমাণ ছিল। তারপর তিনি সালাতে পিছু হটে আসেন, ফলে তাঁর সাথে কাতারের লোকজনও পিছু হটে। তারপর তিনি সামনে অগ্রসর হন, তাঁর সাথে কাতারের লোকজনও সামনে অগ্রসর হয়। অতঃপর তিনি সালাত শেষ করেন। তখন ইতোমধ্যে সূর্য পরিস্ফূট হয়ে গেছে। তারপর তিনি বলেন, “হে লোকসকল, নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মাঝে দুটি নিদর্শন। যা কোন মানুষের মৃত্যুতে গ্রহণ লাগে না। কাজেই যখন তোমরা এর কোন কিছু দেখবে, তখন তোমরা গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ هَذَا النَّوْعَ مِنْ صَلَاةِ الْكُسُوفِ يَجِبُ أَنْ يُصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فِي سِتِّ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعِ سَجَدَاتٍ
2833 - أَخْبَرَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى الْقَطَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَطَاءٌ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَلِكَ يَوْمَ مَاتَ فِيهِ إِبْرَاهِيمُ فَقَالَ النَّاسُ: إِنَّمَا انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ كَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الْأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَرَأَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَرَأَ دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَرَأَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى ثَلَاثَ ركعاتٍ قَبْلَ أَنْ يَسْجُدَ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلَّا الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا إِلَّا أَنَّ رُكُوعَهُ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ ثُمَّ تَأَخَّرَ فِي صَلَاتِهِ فَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ مَعَهُ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَتَقَدَّمْتُ الصُّفُوفُ مَعَهُ فَقَضَى الصَّلَاةَ وَقَدْ أَضَاءَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ قَالَ:
(أَيُّهَا النَّاسُ إن الشمس والقمر آيتان من آيات الله لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ بَشَرٍ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا من ذلك فصلوا حتى ينجلي)
الراوي : جَابِر بْن عَبْدِ اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2833 | خلاصة حكم المحدث: صحيح؛ لكن قوله: ست ركعات ... شاذ، والمحفوظ: أربع ركعات: م ـ انظر ما قبله.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। তবে ছয় রুকূ‘ করার বিষয়টি শায। চার রুকূ‘ সহীহ। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০৬৯-১০৭০)