পরিচ্ছেদঃ আমরা যে হাদীসগুলো উল্লেখ করলাম সেগুলো ব্যাখ্যাসাপেক্ষ; বস্তুত স্পর্শ করলে ওযূ তখনই ওয়াজিব হবে, যখন কোন পর্দা ও অন্তরাল ছাড়া সরাসরি লজ্জাস্থান স্পর্শ করা হবে; অন্যান্য স্পর্শ বা অন্তরাল রেখে লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে ওযূ ওয়াজিব হবে না
১১১৫. আবূ হুরাইরা হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ তার লজ্জাস্থান তার হাত দিয়ে স্পর্শ করে, এবং হাত ও লজ্জাস্থানের মাঝে কোন অন্তরাল বা পর্দা না থাকে, তবে সে যেন ওযূ করে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসে আমরা নাফি বিন আবূ নু‘আইম এর মাধ্যমে দলীল গ্রহণ করেছি কিন্তু ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিক আন নাওফালীর মাধ্যমে দলীল গ্রহণ করিনি, কেননা আমরা ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিক থেকে দায়মুক্তি ঘোষনা করেছি, যেমনটা কিতাবুয যু‘আফাহ কিতাবে উল্লেখ আছে।”
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْأَخْبَارَ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا مُجْمَلَةً بِأَنَّ الْوُضُوءَ إِنَّمَا يَجِبُ مِنْ مَسِّ الذَّكَرِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ بِالْإِفْضَاءِ دُونَ سَائِرِ المسِّ أَوْ كَانَ بَيْنَهُمَا حَائِلٌ
1115 - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْمُعَدَّلُ بِالْفُسْطَاطِ وَعِمْرَانُ بْنُ فَضَالَةَ الشَّعِيرِيُّ بِالْمَوْصِلِ قَالَا: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَنَافِعِ بْنِ أَبِي نُعَيْمٍ الْقَارِئِ عَنِ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِذَا أَفْضَى أَحَدُكُمْ بِيَدِهِ إِلَى فَرْجِهِ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا سِترٌ وَلَا حجاب فليتوضأ)
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1115 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: احْتِجَاجُنَا فِي هَذَا الْخَبَرِ بِنَافِعِ بْنِ أَبِي نُعَيْمٍ دُونَ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ النَّوْفَلِيِّ لِأَنَّ يَزِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ تَبَرَّأْنَا مِنْ عُهْدَتِهِ فِي كِتَابِ ((الضُّعَفَاءِ)).
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১২৩৫।)