পরিচ্ছেদঃ অব্যাহত ভারী বর্ষনের সময় কোন দু‘আ পড়বে
৯৮৮. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার জুমু‘আর দিন এক ব্যক্তি মসজিদের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে যেন তার আশা ছিল মিম্বারের কাছে পৌঁছানো, আর এসময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন। সে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মুখোমুখি হন, এবং বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, গবাদি পশুগুলো ধ্বংস হয়ে গেলো, রাস্তা-ঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো, অতএব আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন যেন তিনি আমাদেরকে পানি দান করেন।
তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর হাত উঠিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে পানি দান করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে পানি দান করুন।” আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আল্লাহর কসম, আমরা আসমানে কোন মেঘ বা মেঘ খন্ড দেখতে পাইনি। আমাদের ও সাল‘ পাহাড়ের মাঝে কোন ঘর বা বাড়ির উপর কোন মেঘ দেখতে পাইনি। অতঃপর পাহাড়ের পেছন থেকে ঢালের মতো একটি মেঘ উদয় হলো, অতঃপর যখন সেটি আসমানের মাঝ বরাবর হলো, তখন সেটি ছড়িয়ে পড়লো, তারপর তা বৃষ্টি বর্ষণ করলো। আল্লাহর কসম, আমরা ছয়দিন পর্যন্ত সূর্য দেখতে পাইনি।
তারপর পরের জুমু‘আয় ঐ দরজা দিয়ে এক ব্যক্তি প্রবেশ করেন, আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসময় খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি দাঁড়িয়ে তাঁর মুখোমুখী হয়ে বললেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ধন-সম্পদ সব ধ্বংস হয়ে গেলো, রাস্তা-ঘাট সব ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। অতএব আপনি আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন যেন তিনি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষন বিরত রাখেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর দুই হাত উঠিয়ে বললেন, “হে আল্লাহ, আমাদের আশেপাশে বর্ষন করুন, আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ, বৃষ্টি বিভিন্ন টিলা, পর্বত, উপত্যকা, বৃক্ষ উৎপাদনের জায়গায় বর্ষন করুন।” রাবী বলেন, অতঃপর বৃষ্টি বর্ষন বন্ধ হয়ে যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সালাত শেষে) সূর্যের আলোতে বাইরে বের হন। অধঃস্তন রাবী বলেন, আমি আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করলাম, “এই ব্যক্তি কি প্রথম ব্যক্তি ছিলেন?” জবাবে তিনি বলেন, “আমি জানি না।”[1]
ذِكْرُ مَا يَدْعُو بِهِ الْمَرْءُ عِنْدَ اشْتِدَادِ الْأَمْطَارِ وَكَثْرَةِ دَوَامِهَا بِالنَّاسِ
988 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعِجْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: دَخَلَ رَجُلٌ الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ بَابٍ كَأَنَّ رَجَاءَهُ الْمِنْبَرُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فاستقبله قائماً فقال: يارسول اللَّهِ هَلَكَتِ الْمَوَاشِي وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ فَادْعُ اللَّهَ ليُغيثنا فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ يَقُولُ: (اللَّهُمَّ اسْقِنَا اللَّهُمَّ اسْقِنَا) قَالَ أَنَسٌ: وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ سَحَابَةً وَلَا قَزَعَةً بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلَا دَارٍ فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ تُرْسٍ فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سِتًّا ثُمَّ دخل رجل من الباب يوم الحمعة الْمُقْبِلَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فاستقبله قائماً ثم قال: يارسول اللَّهِ هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَكُفَّها عَنَّا فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ يَقُولُ: (اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا اللَّهُمَّ عَلَى الْآكَامِ والظِّراب وَالْأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ) قَالَ: فَأَقْلَعَتْ وَخَرَجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي فِي الشَّمْسِ
فَسَأَلْتُ أنساً أهو الرجل الأول؟ قال: لا أدري.
الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 988 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১০১৬।)