পরিচ্ছেদঃ যিনি শিংগায় ফুঁৎকার দেওয়ার অপেক্ষা করছে, তাকে ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল’ বলার নির্দেশ
৮২০. আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কিভাবে আমি সুখ-স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারি, অথচ শিংগা ওয়ালা (ফেরেস্তা) শিংগা মুখে নিয়ে আছেন আর তিনি তাঁর ললাট অবনত রেখে প্রতিক্ষা করছেন, কখন তাকে শিংগায় ফুঁৎকার করার নির্দেশ দেওয়া হবে!” রাবী বলেন, আমরা বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সে সময় আমরা কী বলবো?” তিনি জবাবে বলেন, “তোমরা বলবে, ‘حسبنا الله ونعم الوكيل (আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি কতইনা উত্তম কর্মবিধায়ক।)
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “উসমান বিন আবী শায়বাহ থেকে আবূ ইয়ালা অনুরুপ সানাদে আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা বলো, حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الوكيل على الله توكلنا (আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি কতইনা উত্তম কর্মবিধায়ক। আমরা আল্লাহর উপরই ভরসা করছি।)[1]
ذِكْرُ الْأَمْرِ لِمَنِ انْتَظَرَ النَّفْخَ فِي الصُّورِ أَنْ يَقُولَ: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
820 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْبُخَارِيِّ بِبَغْدَادَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (كَيْفَ أنْعَمُ وَصَاحِبُ الصُّوَرِ قَدِ الْتَقَمَ الْقَرْنَ وَحَنَى جَبْهَتَهُ يَنْتَظِرُ مَتَى يُؤْمَرُ أَنْ يَنْفُخَ)؟ قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَا نَقُولُ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: (قُولُوا: حسبنا الله ونعم الوكيل)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ .... بإسنادٍ نَحْوِهِ قَالَ:
(قُولُوا: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الوكيل على الله توكلنا)
الراوي : أَبُو سَعِيدٍ |المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 820 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১৭৯।)