পরিচ্ছেদঃ কুর‘আন পাঠের ক্ষেত্রে আওয়াজ সুন্দর করা বৈধ কেননা সুন্দর আওয়াজে কুর‘আন পাঠ করলে মহান আল্লাহ তা শ্রবণ করেন
৭৪৮. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ কোন কিছুই সেভাবে (মনযোগের সাথে) শ্রবণ করেন না, যেভাবে কোন নাবীর সুমধুর কন্ঠের কুর‘আন তেলাওয়াত শ্রবণ করেন।”[1]
আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “সুমধুর কন্ঠে কুর‘আন তেলাওয়াত করেন” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো يتحزَّن بِهِ (যুগপৎভাবে মনস্তাপ ও প্রত্যাশা সহ কুর‘আন পাঠ করা)। শব্দটি الْغُنْيَة থেকে উদ্ভূত নয়। যদি শব্দটি الْغُنْيَة থেকে উদ্ভুত হতো তবে বলতেন يَتَغَانَى بِهِ ; يَتَغَنَّى بِهِ বলতেন না। التحزُّنُ بِالْقُرْآنِ এর ক্ষেত্রে আওয়াজ সুউচ্চ, সমধুর করা হয় না, গানের অনুসরণে স্বর উচু-নিচু করা হয়না। التحزُّنُ بِالْقُرْآنِ এর সাথে দু‘টি জিনিস যুক্ত থাকে: মনস্তাপ ও প্রত্যাশা; মনস্তাপ থাকে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংঘটিত হওয়ার কারণে আর প্রত্যাশা থাকে মর্যাদা প্রাপ্তির ব্যাপারে। সুতরাং অন্তর যখন ব্যথিত ও দুঃখিত হয়, আওয়াজ যখন দুঃখ-ভারাক্রান্ত ও অনুরণিত হয়, তখন চোখ অশ্রুসিক্ত হয়, অন্তর আশান্বিত-উজ্জ্বল হয়, এমন সময়ই তাহাজ্জুদ আদায়কারী ব্যক্তি তাঁর প্রতিপালকের সাথে একান্ত বাক্যালাপে স্বাদ অনুভব করেন, আর তার অতীত দোষ, অপরাধ ও পাপ-পঙ্কিলতা থেকে ক্ষমার আশায় সৃষ্টিজীব থেকে পালিয়ে নির্জন কুঠিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়!”
ذِكْرُ إِبَاحَةِ تَحْزِينِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِ إِذِ اللَّهُ أَذِنَ فِي ذَلِكَ
748 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ بِمَنْبِجَ حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى الْبَلْخِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ ثُمَّ سَمِعْتُهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَيْءٍ مَا أذن لنبي يتغنى بالقرآن)
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ) يُرِيدُ يتحزَّن بِهِ وَلَيْسَ هَذَا مِنَ الْغُنْيَةِ وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ مِنَ الْغُنْيَةِ لَقَالَ: يَتَغَانَى بِهِ وَلَمْ يَقُلْ: يَتَغَنَّى بِهِ وَلَيْسَ التحزُّنُ بِالْقُرْآنِ نَقَاءَ الجِرْمِ وَطِيبَ الصَّوْتِ وَطَاعَةَ اللَّهَوَاتِ بِأَنْوَاعِ النَّغَمِ بِوِفَاقِ الْوِقَاعِ وَلَكِنَّ التَّحَزُّنَ بِالْقُرْآنِ هُوَ أَنْ يُقَارِنَهُ شَيْئَانِ: الْأَسَفُ وَالتَّلَهُّفُ: الْأَسَفُ عَلَى مَا وَقَعَ مِنَ التَّقْصِيرِ وَالتَّلَهُّفُ عَلَى مَا يُؤْمَلُ مِنَ التَّوْقِيرِ فإذا تألم القلب وتوجع وتخزن الصَّوْتُ ورجَّع بَدَرَ الْجَفْنَ بِالدِّمُوعِ وَالْقَلْبَ بِاللُّمُوعِ فَحِينَئِذٍ يَسْتَلِذُّ المتهجِّد بِالْمُنَاجَاةِ وَيَفِرُّ مِنَ الْخَلْقِ إِلَى وَكْرِ الْخَلَوَاتِ رَجَاءَ غُفْرَانِ السَّالِفِ مِنَ الذُّنُوبِ وَالتَّجَاوُزِ عَنِ الْجِنَايَاتِ وَالْعُيُوبِ فَنَسْأَلُ اللَّهَ التوفيق له.
الراوي : أبو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 748 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবু দাঊদ: ১৩২৪।)