৬১৯

পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো যখন সে নির্জনে থাকবে, তখন সে তার কৃত পাপের জন্য অব্যাহতভাবে কান্না করতে থাকবে, যদিও সে পাপ থেকে দূরে থাকে এবং তার বিপরীত কাজে সচেষ্ট থাকে

৬১৯. ‘আতা বর্ণনা করেন যে, আমি ও ‘উবাইদ বিন ‘উমাইর ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কাছে গেলাম। তখন ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ‘উবাইদ বিন ‘উমাইরকে বলেন: “আমাদেরকে দেখতে আসার এখন সময় হলো?” তখন ‘উবাইদ বিন ‘উমাইর বলেন, আমি বললাম: “আম্মাজান, আমি তাই বলবো যেমনটা পূর্বের কোন এক ব্যক্তি বলেছিলেন: “বিলম্ব করে দেখা করো, তাহলে মুহাব্বত বৃদ্ধি পাবে!” রাবী বলেন, তখন ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: “আমাদের সাথে এরকম ছন্দময় দুর্বোধ্য কথা বলা বাদ দাও।” ইবনু  ‘উমাইর বলেন: “আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সবচেয়ে বিস্ময়কর যে জিনিস প্রত্যক্ষ করেছেন, তা আমাদেরকে অবহিত করুন।”
তিনি বলেন, তারপর ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা কিছুক্ষণ চুপ থাকেন তারপর বলেন: “কোন এক রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেন: “হে  ‘আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা, আমাকে ছাড় দাও, আমি আজ রাতে আমার প্রতিপালকের ইবাদত করি।” তখন আমি বললাম: “আল্লাহর কসম, নিশ্চয়ই আমি আপনার নৈকট্য ভালবাসি এবং আপনি যাতে খুশি হন, সেটাও ভালবাসি।” তিনি বলেন, এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে গিয়ে ওযূ করলেন এবং সালাতে দাঁড়ালেন। এরপর তিনি কাঁদতে লাগলেন এমনকি তাঁর চোখের কোণ ভিজে গেলো! তারপর আবার কাঁদতে লাগলেন এমনকি তাঁর দাড়ি মোবারক ভিজে গেলো! তারপর তিনি আবার কাঁদতে লাগলেন এমনকি মাটি ভিজে গেলো!
অতঃপর বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আসেন ফজরের সালাতের সময় জানান দেওয়ার জন্য। তিনি যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাঁদতে দেখেন, তখন তিনি বলেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি কেন কাঁদছেন, অথচ মহান আল্লাহ আপনার পূর্বের ও পরের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে দিয়েছেন?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমি কি আল্লাহর শুকরগুজার বান্দা হবো না? আজ রাতে আমার উপর একটি আয়াত নাযিল হয়েছে, দুর্ভোগ ঐ ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি তা পাঠ করে অথচ তা নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে না! আয়াতটি হলো: “নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিতে ...। পুরো আয়াত। (সূরা আল ইমরান: ১৯০)[1]

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَرْءَ عَلَيْهِ إِذَا تَخَلَّى لُزُومُ الْبُكَاءِ عَلَى مَا ارْتَكَبَ مِنَ الْحَوْبَاتِ وَإِنْ كَانَ بَائِنًا عَنْهَا مُجِدًّا فِي إِتْيَانِ ضدها

619 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ النَّخَعِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ عطاء قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَعُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ عَلَى عَائِشَةَ فَقَالَتْ لِعُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ: قَدْ آنَ لَكَ أَنْ تَزُورَنَا فقَالَ: أَقُولُ يَا أُمَّهْ كَمَا قَالَ الْأَوَّلُ: زُرْ غِباً تَزْدَدْ حُبًّا قَالَ: فَقَالَتْ: دَعُونَا مِنْ رَطَانَتِكُمْ هَذِهِ قَالَ ابْنُ عُمَيْرٍ: أَخْبِرِينَا بِأَعْجَبِ شَيْءٍ رَأَيْتِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: فَسَكَتَتْ ثُمَّ قَالَتْ: لَمَّا كَانَ لَيْلَةٌ مِنَ اللَّيَالِي قَالَ: (يَا عَائِشَةُ ذَرِينِي أَتَعَبَّدُ اللَّيْلَةَ لِرَبِّي) قُلْتُ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأُحِبُّ قُرْبَكَ وَأُحِبُّ مَا سَرَّكَ قَالَتْ: فَقَامَ فَتَطَهَّرَ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَالَتْ: فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ حِجره قَالَتْ: ثُمَّ بَكَى فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ لِحْيَتَهُ قَالَتْ: ثُمَّ بَكَى فَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى بَلَّ الْأَرْضَ فَجَاءَ بِلَالٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلَاةِ فَلَمَّا رَآهُ يَبْكِي قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ تَبْكِي وَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ وَمَا تَأَخَّرَ؟ قَالَ: (أَفَلَا أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا لَقَدْ نَزَلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ آيَةٌ وَيْلٌ لِمَنْ قَرَأَهَا وَلَمْ يَتَفَكَّرْ فِيهَا {إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ .... }) الْآيَةَ كُلَّهَا [آل عمران: 190].
الراوي : عطاء | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 619 | خلاصة حكم المحدث: حسن.

619 - اخبرنا عمران بن موسى بن مجاشع حدثنا عثمان بن ابي شيبة حدثنا يحيى بن زكريا عن ابراهيم بن سويد النخعي حدثنا عبد الملك بن ابي سليمان عن عطاء قال: دخلت انا وعبيد بن عمير على عاىشة فقالت لعبيد بن عمير: قد ان لك ان تزورنا فقال: اقول يا امه كما قال الاول: زر غبا تزدد حبا قال: فقالت: دعونا من رطانتكم هذه قال ابن عمير: اخبرينا باعجب شيء رايته من رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فسكتت ثم قالت: لما كان ليلة من الليالي قال: (يا عاىشة ذريني اتعبد الليلة لربي) قلت: والله اني لاحب قربك واحب ما سرك قالت: فقام فتطهر ثم قام يصلي قالت: فلم يزل يبكي حتى بل حجره قالت: ثم بكى فلم يزل يبكي حتى بل لحيته قالت: ثم بكى فلم يزل يبكي حتى بل الارض فجاء بلال يوذنه بالصلاة فلما راه يبكي قال: يا رسول الله لم تبكي وقد غفر الله لك ما تقدم وما تاخر؟ قال: (افلا اكون عبدا شكورا لقد نزلت علي الليلة اية ويل لمن قراها ولم يتفكر فيها {ان في خلق السموات والارض .... }) الاية كلها [ال عمران: 190]. الراوي : عطاء | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 619 | خلاصة حكم المحدث: حسن.

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৭. মন গলানো সুমিষ্ট উপদেশমালা (كِتَابُ الرَّقَائِقِ)