পরিচ্ছেদঃ ২২) নামায আদায় করার পর পরবর্তী নামাযের জন্য অপেক্ষা করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৪৪২. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি নামাযরত আছে বলে গণ্য হবে যতক্ষন নামায তাকে আটকিয়ে রাখে; শুধুমাত্র নামাযই তাকে বাড়ি ফিরে যাওয়া থেকে বিরত রাখে।’’
(একটি হাদীছের মধ্যে বুখারী ইহা বর্ণনা করেছেন ৬৫৯ এবং মুসলিমও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৬৪৯)
বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে:
إِنَّ أَحَدَكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا دَامَتْ الصَّلَاةُ تَحْبِسُهُ وَالْمَلاَئِكَةُ تَقُولُ : اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ مَا لَمْ يَقُمْ مِنْ مُصَلاَّه ، أو يُحْدِثْ
’’যতক্ষন কোন ব্যক্তিকে নামায ফেরত যেতে বাধা দিবে ততক্ষন পর্যন্ত সে নামাযরত অবস্থায় আছে বলে গণ্য হবে। আর ফেরেশতারা তার জন্য দু’আ করে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা কর, তুমি তাকে করুণা কর- যতক্ষন সে মুসল্লা থেকে না উঠে অথবা তার ওযু ভঙ্গ না হয়।’’
মুসলিম এবং আবু দাউদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
لَا يَزَالُ الْعَبْدُ فِي صَلَاةٍ مَا كَانَ فِي مُصَلَّاهُ يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ وَتَقُولُ الْمَلَائِكَةُ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ حَتَّى يَنْصَرِفَ أَوْ يُحْدِثَ قيل ومَا يُحْدِثُ قَالَ يَفْسُو أَوْ يَضْرِطُ
’’কোন বান্দা ততক্ষন পর্যন্ত নামায অবস্থাতেই আছে বলে গণ্য হবে যতক্ষন সে মুসল্লাতে বসে নামাযের জন্য অপেক্ষা করতে থাকবে। আর ফেরেশতারা তার জন্য দু’আ করবে, হে আল্লাহ তুমি তাকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ তুমি তাকে রহম কর। যতক্ষন সে ওখান থেকে ফিরে না যায় অথবা ওযু ভঙ্গ না হয়।
প্রশ্ন করা হল: ওযু ভঙ্গ হওয়ার অর্থ কি?
তিনি বললেনঃ ’’বায়ূ নির্গত হওয়া।’’
এই হাদীছটি ইমাম মালেকও মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, নাঈম বিন আবদুল্লাহ মুজমির থেকে বর্ণিত। তিনি আবু হুরায়রা (রাঃ) কে একথা বলতে শুনেছেনঃ
يَقُولُ إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ ثُمَّ جَلَسَ فِي مُصَلَّاهُ لَمْ تَزَلْ الْمَلَائِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ فَإِنْ قَامَ مِنْ مُصَلَّاهُ فَجَلَسَ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ لَمْ يَزَلْ فِي صَلَاةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ
’’তোমাদের কোন ব্যক্তি যদি নামায আদায় করে অতঃপর জায়নামাযে বসে থাকে তাহলে ফেরেশতারা তার জন্য দু’আ করতেই থাকে, হে আল্লাহ্! তুমি তাকে ক্ষমা কর, হে আল্লাহ্! তুমি তাকে দয়া কর। যদি সে নিজ জায়নামায থেকে উঠে যায় এবং মসজিদের কোন এক জায়গায় বসে নামাযের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে তাহলে সে নামায পড়ে ফিরে যাওয়া পর্যন্ত নামাযরত অবস্থায় আছে বলেই গণ্য হবে।’’
الترغيب في انتظار الصلاة بعد الصلاة
(صحيح) عن أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال لَا يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاةٍ مَا دَامَتْ الصَّلَاةُ تَحْبِسُهُ لَا يَمْنَعُهُ أَنْ يَنْقَلِبَ إِلَى أَهْلِهِ إِلَّا الصَّلَاةُ (رواه البخاري في أثناء حديث ومسلم)