৪০৪

পরিচ্ছেদঃ ১৬) জামাআতে নামায আদায় করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং ঐ ব্যক্তির বর্ণনা যে জামাআতে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে কিন্তু গিয়ে দেখলো, লোকেরা নামায পড়ে ফেলেছে

৪০৪. (সহীহ্) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

’’যে ব্যক্তি আগামীকাল মুসলিম অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করার আনন্দ পেতে চায়, সে যেন যখনই আযান দেয়া হবে তখনই যেন এই নামাযগুলোর প্রতি যত্নবান হয়। কেননা আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবীর জন্যে হেদায়েতের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন এবং এই নামাযগুলো হচ্ছে তার হেদায়তের পথ। তোমরা যদি এই নামাযগুলো বাড়িতে আদায় কর যেমন জামাআত পরিত্যাগকারী এই ব্যক্তি নিজ বাড়ীতে নামায আদায় করে থাকে, তবে তোমরা তোমাদের নবীর অনুসরণ ছেড়ে দিলে। আর তোমরা যদি তোমাদের নবীর অনুসরণ ছেড়ে দাও তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।

আর যখন কোন ব্যক্তি পবিত্রতা অর্জন করে এবং সুন্দর রূপে পবিত্রতার কাজগুলো সম্পাদন করে, তারপর যে কোন একটি মসজিদের উদ্দেশ্যে গমন করে, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তার প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য একটি নেকী লিখে দেন, একটি মর্যাদা উন্নীত করেন এবং একটি গুনাহ মোচন করেন। আমরা দেখেছি আমাদের যুগে প্রকৃত মুনাফেক ছাড়া কেউ জামাআতে অনুপস্থিত থাকতো না। আমাদের মধ্যে অসুস্থ ব্যক্তিকেও দুই ব্যক্তির কাঁধে ভর করে মসজিদে আনা হতো এবং নামাযের কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো।

অন্য বর্ণনায় এসেছেঃ

আমরা দেখেছি জামাআতে নামায থেকে জানা-শোনা মুনাফিক অথবা অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ বিরত থাকতো না। যদিও কোন কোন সময় অসুস্থ ব্যক্তিও দু’জন লোকের কাঁধে ভর দিয়ে মসজিদে আসতেন।

তিনি আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে হেদায়েতের পথ শিখিয়ে দিয়েছেন এবং তার হেদায়াতের পথ হচ্ছে যে মসজিদে আযান হয় সেখানে গিয়ে নামায আদায় করা।’’

(ইমাম মুসলিম ৬৪৫, আবু দাউদ ৫৫০, নাসাঈ ২/১০৮ ও ইবনে মাজাহ ৭৭৭ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في صلاة الجماعة وما جاء فيمن خرج يريد الجماعة فوجد الناس قد صلوا

(صحيح) وَعَنْ ابن مسعود رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللهَ غَدًا مُسْلِمًا ، فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ . فَإِنَّ اللهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُنَنَ الْهُدَى ، وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى ، وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ ، لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ ، وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ ، وَمَامِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُورَ ، ثُمَّ يَعْمِدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَاجِدِ ، إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا حَسَنَةً ، وَيَرْفَعُهُ بِهَا دَرَجَةً ، وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً ، وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَايَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ ، مَعْلُومُ النِّفَاقِ ، وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتَى بِهِ ، يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ، حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ.
- وفي رواية : لَقَدْ رَأَيْتُنَا ، وَمَايَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلاَةِ ، إِلاَّ مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ ، أَوْ مَرِيضٌ ، إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ ، حَتَّى يَأْتِي الصَّلاَةَ . وَقَالَ : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَّمَنَا سُنَنَ الْهُدَى ، وَإِنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى ، الصَّلاَةَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُؤَذَّنُ فِيهِ.
رواه مسلم وأبو داود والنسائي وابن ماجه

صحيح وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال من سره ان يلقى الله غدا مسلما فليحافظ على هولاء الصلوات حيث ينادى بهن فان الله شرع لنبيكم صلى الله عليه وسلم سنن الهدى وانهن من سنن الهدى ولو انكم صليتم في بيوتكم كما يصلي هذا المتخلف في بيته لتركتم سنة نبيكم ولو تركتم سنة نبيكم لضللتم ومامن رجل يتطهر فيحسن الطهور ثم يعمد الى مسجد من هذه المساجد الا كتب الله له بكل خطوة يخطوها حسنة ويرفعه بها درجة ويحط عنه بها سيىة ولقد رايتنا ومايتخلف عنها الا منافق معلوم النفاق ولقد كان الرجل يوتى به يهادى بين الرجلين حتى يقام في الصف وفي رواية لقد رايتنا ومايتخلف عن الصلاة الا منافق قد علم نفاقه او مريض ان كان المريض ليمشي بين رجلين حتى ياتي الصلاة وقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم علمنا سنن الهدى وان من سنن الهدى الصلاة في المسجد الذي يوذن فيهرواه مسلم وابو داود والنساىي وابن ماجه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)