৩৯২

পরিচ্ছেদঃ ১৪) সাধারণ ভাবে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, রুকু, সেজদা এবং বিনয় নম্রতার ফযীলত

৩৯২. (সহীহ্ লি গাইরিহী) মুতার্রেফ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কুরাইশ গোত্রের একদল লোকের কাছে আমি বসে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামায পড়তে লাগলেন। তিনি রুকূ’ করছেন আর সিজদা করছেন, বিশ্রাম নিচ্ছেন না। আমি বললাম, আল্লাহর শপথ লোকটি বলতে পারবে না, সে বেজোড় নামায পড়ছে না জোড় নামায পড়ছে। আমার সাথীরা বলল, আপনি তার কাছে গিয়ে কথাটি বলুন না? আমি উঠে গিয়ে তাকে বললাম, আল্লাহর বান্দা আমার তো মনে হচ্ছে, আপনি বলতে পারবেন না যে, আপনি জোড় না বেজোড় নামায আদায় করে ফিরবেন? তিনি বললেন, কিন্তু আল্লাহ্‌ জানেন! আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

’’যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করবে, তা দ্বারা আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লিখে দিবেন, একটি গুনাহ মোচন করবেন এবং একটি মর্যাদা উন্নীত করবেন।’’

আমি বললাম, আপনি কে? তিনি বললেন, আমি আবু যার। আমি সাথীদের নিকট ফিরে গিয়ে বললাম, তোমরা কতই না খারাপ সঙ্গী! আল্লাহ্‌ তোমাদের সেইরূপ প্রতিদান দিন। তোমরা আমাকে নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর একজন সাহাবীকে শিক্ষা দেয়ার জন্য আমাকে আদেশ করেছো!

(সহীহ লিগাইরিহী) অপর বর্ণনায়ঃ

আমি দেখলাম উনি দীর্ঘক্ষণ ক্বিয়াম করছেন আর বেশী বেশী রুকূ’-সিজদা করছেন। আমি তাকে গিয়ে কথাটি বললে, তিনি বললেন, নামায সুন্দর করতে তো আমি কোন ত্রুটি করিনি! আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি একটি রুকূ করে বা একটি সিজদা করে, বিনিময়ে তার একটি মর্যাদা উন্নীত করা হয় এবং একটি গুনাহ মোচন করা হয়।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ২১৩০৮ ও বাযযার)

الترغيب في الصلاة مطلقا وفضل الركوع والسجود والخشوع

(صحيح لغيره) وَ عَنْ مُطَرِّفٍ، قَالَ: قَعَدْتُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ، فَجَاءَ رَجُلٌ فَجَعَلَ يُصَلِّي: يَرْكَعُ وَيَسْجُدُ وَلَا يَقْعُدُ، فَقُلْتُ: وَاللهِ مَا أَرَى هَذَا يَدْرِي يَنْصَرِفُ عَلَى شَفْعٍ أَوْ وِتْرٍ، فَقَالُوا: أَلَا تَقُومُ إِلَيْهِ فَتَقُولَ لَهُ؟ قَالَ: فَقُمْتُ فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللهِ، مَا أَرَاكَ تَدْرِي تَنْصَرِفُ عَلَى شَفْعٍ أَوْ عَلَى وَتْرٍ؟ قَالَ: وَلَكِنَّ اللهَ يَدْرِي، سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: "مَنْ سَجَدَ لِلَّهِ سَجْدَةً، كَتَبَ اللهُ لَهُ بِهَا حَسَنَةً، وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً، وَرَفَعَ لَهُ بِهَا دَرَجَةً " فَقُلْتُ: مَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: أَبُو ذَرٍّ. فَرَجَعْتُ إِلَى أَصْحَابِي، فَقُلْتُ: جَزَاكُمُ اللهُ مِنْ جُلَسَاءَ شَرًّا، أَمَرْتُمُونِي أَنْ أُعَلِّمَ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
(صحيح لغيره) وفي رواية فَرَأَيْتُهُ يُطِيلُ الْقِيَامَ، وَيُكْثِرُ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: مَا أَلَوْتُ أَنْ أُحْسِنَ، إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: "مَنْ رَكَعَ رَكْعَةً أَوْ سَجَدَ سَجْدَةً رُفِعَ بِهَا دَرَجَةً، وَحُطَّتْ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ " (رواه أحمد والبزار بنحوه)

(صحيح لغيره) و عن مطرف، قال: قعدت الى نفر من قريش، فجاء رجل فجعل يصلي: يركع ويسجد ولا يقعد، فقلت: والله ما ارى هذا يدري ينصرف على شفع او وتر، فقالوا: الا تقوم اليه فتقول له؟ قال: فقمت فقلت: يا عبد الله، ما اراك تدري تنصرف على شفع او على وتر؟ قال: ولكن الله يدري، سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "من سجد لله سجدة، كتب الله له بها حسنة، وحط عنه بها خطيىة، ورفع له بها درجة " فقلت: من انت؟ فقال: ابو ذر. فرجعت الى اصحابي، فقلت: جزاكم الله من جلساء شرا، امرتموني ان اعلم رجلا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم (صحيح لغيره) وفي رواية فرايته يطيل القيام، ويكثر الركوع والسجود، فذكرت ذلك له، فقال: ما الوت ان احسن، اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: "من ركع ركعة او سجد سجدة رفع بها درجة، وحطت عنه بها خطيىة " (رواه احمد والبزار بنحوه)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মুতাররিফ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)