পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৩৭১. (সহীহ্) সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ছাহাবীদের মধ্যে দু’জন লোক পরস্পর ভাই ভাই ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন অন্য জনের ৪০ দিন পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন। তখন প্রথম ব্যক্তির মর্যাদা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আলোচনা করা হয়। রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
’’শেষের জন কি মুসলমান ছিল না?’’
তারা বললেনঃ হ্যাঁ, তাতে তো কোন অসুবিধা ছিল না।
রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
’’তোমরা কিভাবে জানতে পারবে শেষের ব্যক্তির নামায তাকে কোথায় নিয়ে গেছে? কেননা পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের উদাহরণ হচ্ছে স্ববেগে প্রবাহমান মিষ্টি পানির একটি নদীর সাথে। যা কারো ঘরের দরজায় থাকে এবং সে দৈনিক তাতে পাঁচবার গোসল করে। তাহলে কি তোমরা মনে কর তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? তোমরা জানো না ঐ ব্যক্তির নামায তাকে কোন জায়গায় নিয়ে গেছে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মালেক ১/১৭৪, আহমাদ ১/১৭৭, নাসাঈ, ইবনে খুযায়মা, ১/১৬০ হাদীছের বাক্য মালেকের)
ইবনে খুযায়মার বর্ণনায় এসেছেঃ
عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ سَعْدًا وَنَاسًا مَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُونَ : كَأنَّ رَجُلاًنِ أَخَوَانِ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَكَانَ أَحَدُهُمَا أَفْضَلَ مِنَ الآخَرِ ، فَتُوُفِّيَ الَّذِي هُوَ أَفْضَلُهُمَا ، ثُمَّ عَمَّرَ الآخَرُ بَعْدَهُ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثُمَّ تُوُفِّيَ ، فَذُكِرَ ذلك لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : أَلَمْ يَكُنْ يُصَلِّي ؟ قَالُوا : بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ ، وَكَانَ لاَ بَأْسَ بِهِ ، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : وَمَاذا يُدْرِيكُمْ مَاذَا بَلَغَتْ بِهِ صَلاَتُهُ ؟ الحديث
আমের বিন সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি আমর পিতা সাদ (রাঃ) থেকে এবং কিছু ছাহাবী থেকে। তাঁরা বলতেনঃ
রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর যুগে দুই ভাই ছিলেন এবং এদের মধ্যে একজন আরেক জনের চেয়ে বেশী ভাল ছিল। ভাল লোকটি মৃত্যু বরণ করে, অতঃপর দ্বিতীয় লোকটি আরো চল্লিশ দিন বেঁচে থাকে তারপর তারও মৃত্যু হয়। একথা রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সামনে উল্লেখ করা হলে তিনি বললেন:
’’সে (দ্বিতীয় লোকটি) কি সালাত আদায় করে নি?’’
তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! এবং তার মধ্যে কোন অসুবিধা ছিল না। রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
’’তার নামায তাকে কোন জায়গায় নিয়ে গেছে তা তোমরা কি করে জানতে পারবে?’’
(শায়খ আলবানী বলেন, এই বাক্যগুলো ইমাম আহমাদও বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها
(صحيح) وَعَنْ سعد بن أبي وقاص رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَأنَّ رَجُلاًنِ أَخَوَانِ فَهَلَكَ أَحَدُهُمَا قَبْلَ صَاحِبِهِ بِأَرْبَعِينَ لَيْلَةً فَذُكِرَتْ فَضِيلَةُ الْأَوَّلِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقاَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَمْ يَكُنْ الْآخَرُ مُسْلِمًا قَالُوا بَلَى وَكَانَ لَا بَأْسَ بِهِ
فَقاَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا يُدْرِيكُمْ مَا بَلَغَتْ بِهِ صَلَاتُهُ؟ إِنَّمَا مَثَلُ الصَّلَاةِ كَمَثَلِ نَهْرٍ غَمْرٍ عَذْبٍ بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَقْتَحِمُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ فَمَا تَرَوْنَ ذَلِكَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ فَإِنَّكُمْ لَا تَدْرُونَ مَا بَلَغَتْ بِهِ صَلَاتُهُ. رواه مالك واللفظ له وأحمد والنسائي وابن خزيمة