পরিচ্ছেদঃ ৭) ওযু করা এবং তা পরিপূর্ণ করার প্রতি উদ্ধুদ্ধ করণ
১৮৬. (সহীহ) আমর ইবনু আনবাসা আসসুলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জাহেলী যুগে যখন ছিলাম, ধারণা করতাম- সব মানুষই প্রথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত। তারা কোন হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। সে সময় মানুষ মুর্তি পুজা করত। অতঃপর মক্কার এক ব্যাক্তি সম্পর্কে শুনতে পেলাম, তিনি বিভিন্ন ধরণের সংবাদ দিচ্ছেন। (তাঁর সাক্ষাতের উদ্দেশ্য) আমি বাহনে আরোহন করলাম এবং তাঁর কাছে আগমণ করলাম। দেখলাম তিনি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। (এ ভাবে তিনি হাদীছ উল্লেখ করে বললেন) অতঃপর আমি বললামঃ হে আল্লাহর নবী! ওযু সম্পর্কে আমাকে কিছু বলুন? তিনি বললেনঃ
’’তোমাদের কোন ব্যাক্তি ওযুর পানি নিকটে নিয়ে আসে, অতঃপর যখন কুলি করে, নাকে পানি দেয় ও নাক ঝাড়ে, তখন তার মুখের ভিতর থেকে ও নাকের ছিদ্র থেকে সকল পাপ ঝরে পড়ে যায়। অতঃপর আল্লাহ যেভাবে আদেশ করেছেন সেভাবে যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে, তখন পানির সাথে তার মুখমণ্ডল ের দাড়ির শেষ প্রান্ত থেকে পাপ সমূহ ঝরে পড়ে যায়। অতঃপর যখন হস্তদ্বয় কনুই পর্যন্ত ধৌত করে, তখন পানির সাথে তার উভয় হাতের আঙ্গুল সমূহের শেষ প্রান্ত থেকে পাপ সমূহ পড়ে যায়। অতঃপর মাথা মাসেহ করে, তখন পানির সাথে তার মাথার চুলের শেষ ভাগ থেকে পাপ সমূহ খসে পড়ে। অতঃপর পদদ্বয় টাখনুসহ ধৌত করে, তখন পানির সাথে তার উভয় পায়ের আঙ্গুল সমূহের শেষ প্রান্ত থেকে পাপরাশি ঝরে পড়ে। অতঃপর সে ব্যাক্তি যদি দন্ডায়মান হয়ে ছালাত আদায় করে, আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করে ও গুণকীর্তন করে, তিনি যে সকল গুণের অধিকারী তা দ্বারা তাঁর গুণগান বর্ণনা করে এবং একমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য তার অন্তরকে অন্য চিন্তা মুক্ত করে। তবে সে তার গুণাহ থেকে এমন দিনের ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে প্রত্যাবর্তন করে, যে দিন তার মা তাকে নিষ্পাপ অবস্থায় জন্ম দিয়েছিল।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম ৮৩২)
الترغيب في الوضوء وإسباغه
(صحيح) وَعَنْ عمرو بن عبسة السلمي رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: كُنْتُ وَأَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ عَلَى ضَلَالَةٍ وَأَنَّهُمْ لَيْسُوا عَلَى شَيْءٍ وَهُمْ يَعْبُدُونَ الْأَوْثَانَ فَسَمِعْتُ بِرَجُلٍ بِمَكَّةَ يُخْبِرُ أَخْبَارًا فَقَعَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي فَقَدِمْتُ عَلَيْهِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فذكر الحديث إلى أن قال فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَالْوُضُوءَ حَدِّثْنِي عَنْهُ قَالَ مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيهِ وَخَيَاشِيمِهِ ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلَّا خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِي هُوَ لَهُ أَهْلٌ وَفَرَّغَ قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلَّا انْصَرَفَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ. رواه مسلم