৫৯৬৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর ওফাতের পর সাহাবীদের মক্কাহ্ হতে হিজরত করা সম্পর্কে

৫৯৬৪-[৯] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) সুস্থাবস্থায় প্রায়শ বলতেন, প্রত্যেক নবীকে মৃত্যুর পূর্বে জান্নাতে তাঁর নিবাস দেখিয়ে দেয়া হয়, তারপর তাঁকে ইচ্ছানুযায়ী স্বাধীনতা দেয়া হয়। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মৃত্যুরোগে আক্রান্ত হন এবং তার মাথা ছিল আমার রানের উপর। এ সময় তিনি (সা.) বেহুশ হয়ে পড়লেন। অতঃপর হুশ ফিরে আসলে ঘরের ছাদের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। তারপর বললেন, হে আল্লাহ! উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বন্ধুর সাথে। তখন আমি মনে মনে বললাম, তিনি এখন আমাদের কাছে থাকা ভালোবাসবেন না। আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আর আমি এটা বুঝতে পারলাম, সুস্থ অবস্থায় তিনি (সা.) যে কথাটি বলতেন, এটা সে কথারই বহিঃপ্রকাশ। আর সেই কথাটি হলো, প্রত্যেক নবীকে মৃত্যুর আগে জান্নাতে তাঁর নিবাস দেখিয়ে দেয়ার পর তাকে ইচ্ছানুযায়ী স্বাধীনতা দেয়া হয়। আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, নবী (সা.) সর্বশেষ এ বাক্যটি উচ্চারণ করেন- (اللَّهُمَّ الرفيق الْأَعْلَى) (হে আল্লাহ! উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বন্ধুর সঙ্গে)। (বুখারী ও মুসলিম)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب هِجْرَة أَصْحَابه صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من مَكَّة ووفاته)

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ صَحِيح: «لَنْ يُقْبَضَ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يُرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرَ» . قَالَتْ عَائِشَةُ: فَلَمَّا نَزَلَ بِهِ ورأسُه على فَخذِي غُشِيَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَفَاقَ فَأَشْخَصَ بَصَرُهُ إِلَى السَّقْفِ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الْأَعْلَى» . قُلْتُ: إِذَنْ لَا يَخْتَارُنَا. قَالَتْ: وَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَدِيثُ الَّذِي كَانَ يُحَدِّثُنَا بِهِ وَهُوَ صَحِيحٌ فِي قَوْلِهِ: «إِنَّهُ لَنْ يُقْبَضَ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يُرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرَ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَكَانَ آخِرُ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَ بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «اللَّهُمَّ الرفيق الْأَعْلَى» . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (6509) و مسلم (87 / 2444)، (6297) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)

عن عاىشة قالت: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول وهو صحيح: «لن يقبض نبي قط حتى يرى مقعده من الجنة ثم يخير» . قالت عاىشة: فلما نزل به وراسه على فخذي غشي عليه ثم افاق فاشخص بصره الى السقف ثم قال: «اللهم الرفيق الاعلى» . قلت: اذن لا يختارنا. قالت: وعرفت انه الحديث الذي كان يحدثنا به وهو صحيح في قوله: «انه لن يقبض نبي قط حتى يرى مقعده من الجنة ثم يخير» قالت عاىشة: فكان اخر كلمة تكلم بها النبي صلى الله عليه وسلم: «اللهم الرفيق الاعلى» . متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (6509) و مسلم (87 / 2444)، (6297) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: (اللَّهُمَّ الرفيق الْأَعْلَى) “হে আল্লাহ! উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন বন্ধুর সঙ্গে।” এটা ছিল আল্লাহর রাসূল (সা.) -এর পবিত্র জবান থেকে নির্গত সর্বশেষ বাণী। ঐতিহাসিক সুহায়লী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আল্লাহর নবী (সা.) সর্বপ্রথম মুখ থেকে যে কথাটি বের করেছিলেন তা ছিল ‘আল্ল-হু আকবার'। আর তিনি (সা.) কথা বলেছিলেন যখন তিনি তার দুধ মা হালিমা-এর নিকট দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন- এটা বর্ণনা করেছেন ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ)। অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে যে, রূহ জগতে আল্লাহ তা'আলা যখন সকল রূহ থেকে স্বীয় প্রভুত্বের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যাকে (عهد ألست) “আহদে আলাসতু” বলা হয়, তখন আল্লাহ তা'আলার প্রশ্ন- আলাসতু বিরব্বিকুম? আমি কি তোমাদের প্রভু নই? এর জবাবে বালা, তথা জি হ্যা, অবশ্যই আপনি আমাদের প্রভু। সর্বপ্রথম এ উত্তর দিয়েছিলেন মুহাম্মাদ (সা.)। (মিরকাতুল মাফাতীহ, মাযাহিরে হাক শারহে মিশকাত ৭ম খণ্ড, ২০২ পৃষ্ঠা)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)