পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৮৯০-[২৩] বুখারীর বর্ণনাতে উল্লিখিত হাদীসটির বিষয়বস্তুটি বর্ণিত হয়েছে। আর বুখারী ও মুসলিম এর উভয় বর্ণনায় আছে, বারা ইবনু আযিব (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহর শপথ! যখন যুদ্ধ ভয়ানক আকার ধারণ করত, তখন আমরা নবী (সা.) -এর দ্বারা আত্মরক্ষা করতাম। আর আমাদের মাঝে ঐ লোকই অধিক সাহসী বলে গণ্য হত, যে লোক নবী (সা.) -এর পাশাপাশি বরাবর দাঁড়াত।
الفصل الاول (بَاب فِي المعجزا)
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا قَالَ الْبَرَاءُ كُنَّا وَاللَّهِ إِذَا احْمَرَّ الْبَأْسُ نَتَّقِي بِهِ وَإِنَّ الشُّجَاعَ مِنَّا لَلَّذِي يُحَاذِيهِ يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم
متفق علیہ ، رواہ البخاری (لم اجدہ) و مسلم (79 / 1776)، (4616) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা : (إِذَا احْمَرَّ الْبَأْسُ) অর্থাৎ যখন যুদ্ধ লাল হলো, ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এখানে (حْمَرَّ الْبَأْسُ) তথা যুদ্ধ লাল হওয়ার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধ প্রচণ্ড আকার ধারণ করা।
এখানে যুদ্ধ লাল হওয়ার কথা বলা হয়েছে রূপকভাবে। কেননা যখন যুদ্ধ প্রচণ্ড আকার ধারণ করে, তখন যুদ্ধক্ষেত্র রক্তে লাল হয়ে যায়। সে সময়ে যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছিল যে, যারা অত্যধিক সাহসী তারাই তখন যুদ্ধক্ষেত্রে কেবল কাফির বাহিনীর সামনে যেত। আর অন্যরা যুদ্ধের মাঠ ছেড়ে সাময়িক সময়ের জন্য পালিয়ে ছিল। তখন সেই মুহূর্তেও রাসূল (সা.) -এর সাহস ছিল অত্যধিক এবং আল্লাহর প্রতি আস্থা ছিল অনেক দৃঢ়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)