পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৮৭৪-[৭] উক্ত রাবী [ইবনু আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সেদিন (বদর যুদ্ধের দিন) জনৈক মুসলিম তার সামনের একজন মুশরিকের পিছনে ধাওয়া করছিলেন, এমন সময় তিনি তার ওপর হতে একটি চাবুকের এবং এক অশ্বারোহীর আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি বলেছিলেন, “হে হায়যূম! (ফেরেশতার ঘোড়ার নাম) অগ্রসর হও।” এ সময় তিনি দেখতে পেলেন, সেই সম্মুখস্থ মুশরিক লোক চিত হয়ে পড়ে আছে। অতঃপর তার দিকে তাকিয়ে দেখলেন, তার নাকের উপর আঘাতের চিহ্ন এবং মুখ ফেটে রয়েছে। চাবুকের আঘাতের মতো সমস্ত স্থান নীল বর্ণ হয়ে রয়েছে। অতঃপর সে আনসারী রাসূলুল্লাহ (সা.) - এর কাছে এসে ঘটনাটি বর্ণনা করলে তিনি বললেন, তুমি সত্যই বলেছ। তিনি তৃতীয় আকাশের সাহায্যকারী মালায়িকার একজন ছিলেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, মুসলিমগণ সেদিন (বদরের দিন) সত্তরজন মুশরিককে হত্যা এবং সত্তরজনকে বন্দি করেছিলেন। (মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب فِي المعجزا)
وَعنهُ قا ل: بَيْنَمَا رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ يَشْتَدُّ فِي إِثْرِ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ أَمَامَهُ إِذْ سَمِعَ ضَرْبَةً بِالسَّوْطِ فَوْقَهُ وَصَوْتُ الْفَارِسِ يَقُولُ: أَقْدِمْ حَيْزُومُ. إِذْ نَظَرَ إِلَى الْمُشْرِكِ أَمَامَهُ خَرَّ مُسْتَلْقِيًا فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ قَدْ خُطِمَ أَنْفُهُ وَشُقَّ وَجْهُهُ كَضَرْبَةِ السَّوْطِ فَاخْضَرَّ ذَلِكَ أَجْمَعُ فَجَاءَ الْأَنْصَارِيُّ فَحَدَّثَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «صَدَقْتَ ذَلِكَ مِنْ مَدَدِ السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ» فَقَتَلُوا يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ وَأَسَرُوا سبعين. رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (58 / 1763)، (4588) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: হাদীসের এক অংশে বলা হয়েছে, (فَجَاءَ الْأَنْصَارِيُّ فَحَدَّثَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: صَدَقْتَ ..) অর্থাৎ তারপর একজন আনসার সাহাবী এসে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট সেই ঘটনাটি বর্ণনা করলেন। তখন রাসূল (সা.) তা সত্যায়ন করলেন।
এখানে মিরক্বাত প্রণেতা উল্লেখ করেন যে, এ বিশেষ ঘটনাটি দেখতে পাওয়াটা সাহাবীর জন্য বিশেষ মর্যাদার বিষয়। বিশেষ করে তা ঘটেছে, রাসূল (সা.) -এর জীবদ্দশায় এবং তিনি সেই সাহাবীর বর্ণনাকে সত্যায়নও করেছেন। আর সকল সাহাবী হলেন ন্যায়পরায়ণ। তাই তাদের সংবাদও সঠিক। অতএব যুদ্ধের ময়দানে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনাকে মু'জিযাহ্ হিসেবেই গণ্য হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)