৫৮২৪

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা

৫৮২৪-[২৪] আনাস (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন কোন লোকের সাথে মুসাফাহা করতেন, তখন তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত হাতখানা সরিয়ে নিতেন না, যতক্ষণ না সেই লোক নিজের হাত সরিয়ে নিত। আর তিনি (সা.) সেই লোকের দিক হতে নিজের মুখ ফিরিয়ে নিতেন না, যতক্ষণ না সে রাসূল (সা.) -এর দিক হতে স্বীয় চেহারা ফিরিয়ে নিত। আর তাকে নিজের সাথে বসা লোকজনের সাথে কখনো হাঁটু বাড়িয়ে বসতে দেখা যায়নি। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صَافَحَ الرَّجُلَ لَمْ يَنْزِعْ يَدَهُ مِنْ يَدِهِ حَتَّى يَكُونَ هُوَ الَّذِي يَنْزِعُ يَدَهُ وَلَا يَصْرِفُ وَجْهَهُ عَنْ وَجْهِهِ حَتَّى يَكُونَ هُوَ الَّذِي يَصْرِفُ وَجْهَهُ عَن وَجهه وَلم يُرَ مقدِّماً رُكْبَتَيْهِ بَين يَدي جليس لَهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2490 وقال : غریب) [و ابن ماجہ (3716)] * زید العمی ضعیف و تلمیذہ لین ولہ شاھد ضعیف عند ابی داود (4794) وغیرہ ۔
(ضَعِيف)

وعن انس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان اذا صافح الرجل لم ينزع يده من يده حتى يكون هو الذي ينزع يده ولا يصرف وجهه عن وجهه حتى يكون هو الذي يصرف وجهه عن وجهه ولم ير مقدما ركبتيه بين يدي جليس له. رواه الترمذي اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2490 وقال : غریب) [و ابن ماجہ (3716)] * زید العمی ضعیف و تلمیذہ لین ولہ شاھد ضعیف عند ابی داود (4794) وغیرہ ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটি থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, মুসাফাহ্ করতে হবে এক হাত দিয়ে। তা হলো ডান হাত দিয়ে। যেমন- হাদীসে বলা হলো (اذاصافح الرجل لم ينزع يده من يده حتى يكون هو الزى ينزع يده) অর্থাৎ “যখন কোন ব্যক্তির সাথে নবী (সা.) এ মুসাফাহ্ করতেন, তখন তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত নিজের হাতখানা (ডানহাত) সরিয়ে নিতেন না, যতক্ষণ না সেই ব্যক্তি নিজের হাত সরিয়ে নিতেন।” এখান থেকে বুঝা গেল, মুসাফাহ্ করার সময় উভয়ে এক হাত করে ব্যবহার করবেন তা হলো উভয়ের ডান হাত। হাদীসের শব্দগুলো তার প্রমাণ- (يده) শব্দটি হাদীসে তিনবার ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ একহাত বা হাতখানা। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার ডান হাতখানা দ্বারা মুসাফাহ্ করতেন, তার সাথে যিনি মুসাফাহ্ করতেন তিনিও তাঁর ডান হাতখানা বাড়িয়ে দিতেন।

বর্তমানে দু’জনে মুসাফাহ করার সময় যে চার হাত ব্যবহার করা হচ্ছে নবী (সা.) থেকে এ মর্মে পৃথিবীতে কোন হাদীস পাওয়া যায় না। (সম্পাদকীয়)

(رُكْبَتَيْهِ بَين يَدي جليس) অর্থাৎ তিনি (সা.) যখন কোন মজলিসে বসতেন তখন তার দু' হাটুকে তার সাথির দু হাঁটুর উপর রাখতেন না। যেমনটিভাবে অহংকারী রাজা বাদশাগণ তাদের মাজলিসগুলোতে করে থাকে। বলা হয়ে থাকে, তার সামনে যারা বসত তিনি তাদের নিকট তার দু' হাঁটুকে উঁচু করতেন না। বরং তিনি (সা.) তাদের সম্মানার্থে দু' হাঁটুকে নামিয়ে রাখতেন। তারা বলেছেন, তিনি (সা.) দু' হাঁটু দিয়ে উদ্দেশ্য করেছেন দু' পা। আর আগে বাড়ানো হলো তাকে লম্বা করা ও বাড়িয়ে দেয়া। বলা হয়ে থাকে, এক পা আগে বাড়িয়ে রাখা ও আর এক পা পিছনে রাখা। এর অর্থ হলো তার সাথির সম্মানার্থে তার দিকে তার পা লম্বা করে দিবে না। নবী (সা.) -এর কথার ব্যাপারে ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনি তার সাথির হাত সরিয়ে নেয়ার আগে তার নিজের হাতকে সরিয়ে নিতেন না, এতে তার উম্মতের জন্য শিক্ষা হলো তার সাথিকে সম্মান ও মর্যাদা করবে। তার সাথির হাত থেকে নিজের হাতকে আগে সরিয়ে নিবে না, আর তার দিকে তার পা বাড়িয়ে দিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করবে না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)