পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর স্বভাব-চরিত্রের বর্ণনা
৫৮০১-[২৬] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একাধারে দশ বছর নবী (সা.) -এর সেবা করেছি। কিন্তু তিনি কোন দিন ’উহ’ শব্দটি পর্যন্ত আমাকে বলেননি। এমনকি এ কাজটি কেন করেছ আর এটা কেন করনি? এমন কথাও কোন দিন বলেননি। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول (بَابٌ فِي أَخْلَاقِهِ وَشَمَائِلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم)
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: خَدَمْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرَ سِنِينَ فَمَا قَالَ لِي: أُفٍّ وَلَا: لِمَ صَنَعْتَ؟ وَلَا: أَلَّا صَنَعْتَ؟ مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (6038) و مسلم (51 / 2309)، (6011) ۔
(مُتَّفق عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: সহীহ মুসলিম-এর এক বর্ণনায় ৯ বছরের কথাও এসেছে। অত্র হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর খিদমাত করার প্রতি কত বেশি মনোযোগী ছিলেন। তিনি অত্যন্ত আদবের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর খিদমাত করতেন, যে কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর প্রতি খুশি ছিলেন। আর তাকে কখনও তিনি ধমক দেননি বা তাঁর প্রতি তিনি কখনও বিরক্ত হননি। মূলত হাদীসটিতে আনাস (রাঃ)-এর প্রশংসা ফুটে উঠেছে। এ হাদীসে খিদমাতের আদব শিক্ষা দেয়া হয়েছে। একজন ছাত্র কিভাবে তার শিক্ষককে সম্মান জানাবে, সম্মানিত ব্যক্তিকে কিভাবে সম্মান করতে হবে তা অত্র হাদীসে ফুটে উঠেছে। হাদীসটি দ্বারা এটাও বুঝা যায় যে, নবী (সা.) -এর চরিত্র কত সুন্দর ছিল। তিনি কোনদিন কারো প্রতি যুলম করেননি। তাঁর আচরণে কেউ যেন মনে কষ্ট না পায় সেদিকে তিনি (সা.) খুবই খেয়াল রাখতেন। (সম্পাদকীয়)।