৫৭৪৭

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ

৫৭৪৭-[৯] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমাকে এমন পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা আমার আগে আর কাউকে দেয়া হয়নি।
১. আমাকে এক মাসের দূরত্বের মধ্যে রু’ব (ভীতি) দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।
২. আমার জন্য মাটিকে মসজিদ ও পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ বানানো হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের কোন লোক যেখানেই সালাতের সময় হয়ে যাবে, সে যেন সেখানেই সালাত আদায় করে নেয়।
৩. আমার জন্য গনীমাতের সম্পদ বৈধ করা হয়েছে, যা ইতোপূর্বে কারো জন্য বৈধ ছিল না।
৪. আমাকে শাফাআতের অধিকার দেয়া হয়েছে।
৫. প্রত্যেক নবী প্রেরিত হয়েছেন কেবলমাত্র আপন আপন গোত্রের জন্য, কিন্তু আমি প্রেরিত হয়েছি সমগ্র মানবজাতির জন্য। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابُ فَضَائِلِ سَيِّدِ الْمُرْسَلِينَ)

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي: نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ وَجُعِلَتْ لِيَ الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا فَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتي أدركتْه الصَّلاةُ فليُصلِّ وأُحلَّتْ لي المغانمُ وَلَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي وَأَعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ وَكَانَ النَّبِيُّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً وَبُعِثْتُ إِلَى النَّاسِ عامَّةً . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (335) و مسلم (3 / 521)، (1163) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن جابر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اعطيت خمسا لم يعطهن احد قبلي: نصرت بالرعب مسيرة شهر وجعلت لي الارض مسجدا وطهورا فايما رجل من امتي ادركته الصلاة فليصل واحلت لي المغانم ولم تحل لاحد قبلي واعطيت الشفاعة وكان النبي يبعث الى قومه خاصة وبعثت الى الناس عامة . متفق عليه متفق علیہ ، رواہ البخاری (335) و مسلم (3 / 521)، (1163) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর পাঁচটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে যা অন্যান্য নবীদের দেয়া হয়নি।

প্রথম বৈশিষ্ট্য: শত্রুর মনে ভীতি। এক মাসের রাস্তার দূরত্ব পর্যন্ত এই ভীতির প্রভাব পড়ে। অর্থাৎ শত্রু অনেক দূরে থাকতেই রাসূল (সা.) এর নাম শুনলে তার মনে ভীতির সঞ্চার হয়ে যায়।

দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য: শারহুস্ সুন্নাহয় বলেন, আহলে কিতাবদেরকে তাদের গীর্জা ও মঠ তথা “ইবাদাতশালা ছাড়া উপাসনা অনুমতি দেয়া হয়নি। তাদের জন্য ‘ইবাদাতশালা ছাড়া উপাসনা আদায় বৈধ নয়। কিন্তু এই উম্মতের ওপর সহজ করার জন্য আল্লাহ তা'আলা যে কোন স্থানে সালাত আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন। কেবল অপবিত্র জায়গা, কবর ও বাথরুম ব্যতীত। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যের আরেকটি অংশ হলো, মাটিকে পবিত্রতার মাধ্যম বানানো। এর দ্বারা উদ্দেশ্য তায়াম্মুম করে পবিত্র হওয়ার সুযোগ দান। কারো কারো মতে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, পবিত্র মাটিকে তাদের জন্য সালাতের স্থান বানিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ যে কোন পবিত্র ভূমিতে তারা সালাত আদায় করতে পারে।

তৃতীয় বৈশিষ্ট্য: গনীমাতের সম্পদ বৈধ হওয়া, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ অন্যান্য নবী বা উম্মতের জন্য বৈধ ছিল না।

চতুর্থ বৈশিষ্ট্য: রাসূল (সা.) -কে সুপারিশের অনুমতি দেয়া, এটা বিশেষ সুপারিশ। কিয়ামত দিবসে হাশরের ময়দানের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বিচার কার্য শুরু করার বিশেষ সুপারিশটি কেবল রাসূল (সা.) করবেন। অন্য কেউ এই সুপারিশ করার সাহস করবে না।

পঞ্চম বৈশিষ্ট্য: প্রত্যেক নবী নির্ধারিত জাতি বা বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য পাঠানো হয়েছে। পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে পুরো পৃথিবীর জন্য এবং সকল জাতির জন্য পাঠানো হয়েছে। (সম্পাদকীয়)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৯: চারিত্রিক গুণাবলি ও মর্যাদাসমূহ (كتاب الْفَضَائِل وَالشَّمَائِل)