৫৩৭৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ভীতি প্রদর্শন ও সতর্কীকরণ

৫৩৭৫-[৫], ৫৩৭৬-[৬] আবূ উবায়দাহ্ ও মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: এ দীনের (ইসলামের) শুরু হয়েছে নুবুওয়্যাত ও রহমতের দ্বারা। অতঃপর আসবে খিলাফত ও রহমতের যুগ, তারপর আসবে অত্যাচারী বাদশাহদের যুগ। এরপর আসবে নির্দয়তা উচ্ছৃঙ্খলতা ও দেশে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীর যুগ। তারা রেশমি কাপড় পরিধান করা, অবৈধভাবে নারীদের যৌনাঙ্গ উপভোগ করা এবং মদ্য পান করাকে বৈধ মনে করবে। এতদসত্ত্বেও তাদেরকে রিযক দেয়া হবে এবং (দুনিয়াবী কাজে) তাদেরকে সাহায্য করা হবে। অবশেষে এ পাপের মধ্যে লিপ্ত থেকে কিয়ামতে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে। (বায়হাক্বী’র শুআবূল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب الْإِنْذَار والتحذير)

وَعَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ بَدَأَ نُبُوَّةً وَرَحْمَةً ثُمَّ يَكُونُ خِلَافَةً وَرَحْمَةً ثُمَّ مُلْكًا عَضُوضًا ثُمَّ كَانَ جَبْرِيَّةً وَعُتُوًّا وَفَسَادًا فِي الْأَرْضِ يَسْتَحِلُّونَ الْحَرِيرَ وَالْفُرُوجَ وَالْخُمُورَ يُرْزَقُونَ عَلَى ذَلِكَ وَيُنْصَرُونَ حَتَّى يَلْقَوُا اللَّهَ» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»

اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (5616 ، نسخۃ محققۃ : 5228) [و ابو یعلی (873)] * لیث بن ابی سلیم : ضعیف ، و للحدیث شواھد ۔
(ضَعِيف)

وعن ابي عبيدة ومعاذ بن جبل عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «ان هذا الامر بدا نبوة ورحمة ثم يكون خلافة ورحمة ثم ملكا عضوضا ثم كان جبرية وعتوا وفسادا في الارض يستحلون الحرير والفروج والخمور يرزقون على ذلك وينصرون حتى يلقوا الله» رواه البيهقي في «شعب الايمان» اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (5616 ، نسخۃ محققۃ : 5228) [و ابو یعلی (873)] * لیث بن ابی سلیم : ضعیف ، و للحدیث شواھد ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা : نَّ هَذَا الْأَمْرَ بَدَأَ نُبُوَّةً وَرَحْمَةً  মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সংশোধনের নিমিত্তে ইসলামের এই সমস্ত বিধি-বিধানের সূচনা হয়েছে রহমাতপ্রাপ্ত নবীর ওপর ওয়াহী অবতীর্ণের মাধ্যমে। উম্মাতে মুহাম্মাদীর ওপর অনুগ্রহস্বরূপ।
(ثُمَّ يَكُونُ خِلَافَةً وَرَحْمَةً) অতঃপর ইসলামের বিধি-বিধান নির্ভর খিলাফতের মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিপূর্ণ অনুসরণীয় ক্ষমতার উপর ৩০ বছর পর্যন্ত এই উম্মতের ওপর অনুগ্রহস্বরূপ।
(ثُمَّ مُلْكًا عَضُوضًا) অতঃপর প্রজাদের ওপর যুলুম নির্ভর রাজতন্ত্রের আগমন ঘটবে। যারা অন্যায়ভাবে প্রজাদের উপর যুলম করবে। তবে ‘উমার ইবনু আবদুল আযীয ব্যতীত যাকে ইসলামের পঞ্চম খলীফাহ্ ও দ্বিতীয় ‘উমার বলা হয়।

(ثُمَّ كَانَ جَبْرِيَّةً وَعُتُوًّا وَفَسَادًا فِي الْأَرْضِ) অতঃপর এ বিষয়টি অন্যায়ভাবে জোর দখল করে সংঘটিত হবে। যারা হবে অহংকারী ও পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী, আর এ ব্যবস্থাটি দীর্ঘকাল পর্যন্ত চলতেই থাকবে।
প্রথমত, তারা ইমারতের শর্তাবলির প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে প্রজাদের ওপর অন্যায়ভাবে যুলম করবে।
দ্বিতীয়ত, প্রজাদের ওপর অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে অন্যায়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে।
তৃতীয়ত, তারা জোর করে চাকুরী কুক্ষিগত করবে। হকদার বিবেকবানদেরকে ক্ষমতা বঞ্চিত করবে। আলিম ‘উলামাহ্ ও সৎ লোকেদেরকে উপেক্ষা করে চলবে। আর অধিকাংশ শাসকই কাফির ও বাতিলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিত্যাগ করে বিপর্যয় সৃষ্টির লক্ষ্যে ও ক্ষমতা ধরে বাঁচার জন্য মুসলিমদের সাথে লড়াই করবে। তারা রেশমী কাপড় পরা, মদ, জুয়া ও ব্যভিচারকে বৈধ মনে করবে।

(يُرْزَقُونَ عَلَى ذَلِكَ وَيُنْصَرُونَ) আর তারা এ সমস্ত অবৈধ কাজকে বৈধতা দানের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করবে এবং তারা এই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য একে অন্যকে সাহায্য করবে এমনভাবে যে, বিবেকানরা তা বুঝতেই পারবে না। আর এভাবেই তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে। তথা কিয়ামত পর্যন্ত এভাবেই চলবে। এ মর্মে আল্লাহ বলেন
(وَ لَا تَحۡسَبَنَّ اللّٰهَ غَافِلًا عَمَّا یَعۡمَلُ الظّٰلِمُوۡنَ ۬ؕ اِنَّمَا یُؤَخِّرُهُمۡ لِیَوۡمٍ تَشۡخَصُ فِیۡهِ الۡاَبۡصَارُ) “যালিমরা যা করছে সে ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে কক্ষনো উদাসীন মনে করো না। তিনি তাদেরকে সেদিন পর্যন্ত ঢিল দিচ্ছেন যেদিন ভয়ে আতঙ্কে চক্ষু স্থির হয়ে যাবে”- (সূরাহ ইবরাহীম ১৪ : ৪২)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)