৫২৯০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা

৫২৯০-[৭] নাবী (সা.) -এর জনৈক সাহাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা এক মজলিসে বসা ছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের মধ্যে এ অবস্থায় আগমন করলেন যে, তার মাথায় (সদ্য গোসলের) পানির চিহ্ন ছিল। আমরা বললাম : হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনাকে প্রফুল্ল হৃদয়ের দেখছি। তিনি (সা.) বললেন : হ্যাঁ, ঠিকই। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকজন মাল-সম্পদের আলোচনায় লিপ্ত হল, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন : যে ব্যক্তি মহাপরাক্রমশালী আল্লাহকে ভয় করে তার জন্য সম্পদশালী হওয়াতে কোন ত্রুটি নেই। মূলত মুত্তাক্বীদের জন্য সুস্থ হওয়া সম্পদশালী হওয়া অপেক্ষা অনেক উত্তম এবং মানসিক প্রশান্তি আল্লাহ তা’আলার নি’আমাতসমূহের অন্যতম একটি নি’আমাত। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)

عَنْ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُنَّا فِي مَجْلِسٍ فَطَلَعَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى رَأْسِهِ أَثَرُ مَاءٍ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ نَرَاكَ طَيِّبَ النَّفْسِ. قَالَ: أَجَلْ. قَالَ: ثُمَّ خَاضَ الْقَوْمُ فِي ذِكْرِ الْغِنَى فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا بَأْسَ بِالْغِنَى لِمَنِ اتَّقَى اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَالصِّحَّةُ لِمَنِ اتَّقَى خَيْرٌ مِنَ الْغِنَى وَطِيبُ النَّفس من النَّعيم» رَوَاهُ أَحْمد

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (5 / 372 ح 23545) [و ابن ماجہ (2141)] ۔

عن رجل من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم قال: كنا في مجلس فطلع علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم وعلى راسه اثر ماء فقلنا: يا رسول الله نراك طيب النفس. قال: اجل. قال: ثم خاض القوم في ذكر الغنى فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا باس بالغنى لمن اتقى الله عز وجل والصحة لمن اتقى خير من الغنى وطيب النفس من النعيم» رواه احمد اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (5 / 372 ح 23545) [و ابن ماجہ (2141)] ۔

ব্যাখ্যা : (نَرَاكَ طَيِّبَ النَّفْسِ) আপনাকে আনন্দিত দেখছি অর্থাৎ আপনার চেহারায় আনন্দ ও খুশির ঝলক যেন চকচক করে প্রস্ফুটিত হচ্ছে।
(قَالَ: ثُمَّ خَاضَ الْقَوْمُ فِي ذِكْرِ الْغِنَى) বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকজন ধন-সম্পদ সম্পর্কে বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য ও পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা শুরু করল।
(فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا بَأْسَ بِالْغِنَى لِمَنِ اتَّقَى اللَّهَ) অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, “দরিদ্রতাই উত্তম তবে সম্পদশালী হওয়া দোষণীয় নয়, যে তাক্বওয়া অবলম্বন করবে তার জন্য।”
(وَالصِّحَّةُ) তথা দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ব্যক্তির সম্পদশালী হওয়া দোষণীয় নয়, যে তাকওয়া অবলম্বন করবে। অথবা ধন-সম্পদ থেকে বেঁচে থাকার পরও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া দোষণীয় নয়, বরং এটাই উত্তম ঐ ধনী লোকের চেয়ে যে পরকালে হিসাব ও শাস্তির সম্মুখীন হবে।
(وَطِيبُ النَّفس من النَّعيم) স্বচ্ছল ও অসচ্ছল সর্বাবস্থায় ধৈর্যধারণ করে কৃতজ্ঞতায় হাসিখুশি থাকা নি'আমতের অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ জান্নাতুন্ নাঈমের অধিকারী হওয়া। যেমনটি আল্লাহ তা'আলা বলেন, (وَ لِمَنۡ خَافَ مَقَامَ رَبِّهٖ جَنَّتٰنِ), “আর যে তার প্রতিপালকের সামনে হাজির হওয়ার ভয় রাখে তার জন্য আছে দুটো বাগান”- (সূরাহ্ আর রহমান ৫৫ : ৪৬)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)