৫২৭৯

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আশা আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগ প্রসঙ্গ

৫২৭৯-[১২] আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) নাবী (সা.) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সা.) বলেছেন : আমার উম্মাতের বয়সের সীমা ষাট হতে সত্তর বছর পর্যন্ত (তাদের মাঝে খুবকমই আছে যে এ সীমা অতিক্রম করবে)। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন : হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب الأمل والحرص)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عُمُرُ أُمَّتِي مِنْ سِتِّينَ سَنَةً إِلَى سَبْعِينَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (2331) ۔
(صَحِيح)

وعن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «عمر امتي من ستين سنة الى سبعين» . رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (2331) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা : উম্মতে মুহাম্মাদীর ষাট থেকে সত্তর বছরের হায়াতের বিষয়টি অধিকাংশের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় অনেকেই নব্বই এমনকি একশত বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকেন। এগুলো ব্যতিক্রম ঘটনা। এ হাদীস থেকে উদ্দেশ্য এটাও হতে পারে যে, উম্মাতের ষাট থেকে সত্তর বছরের হায়াত হলো ‘ইবাদাত বন্দেগীর ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এটা মধ্যম এবং ভারসাম্যপূর্ণ সময় যাতে উম্মাতের অধিকাংশ মানুষ পৌছতে পারে। আমাদের নবী সায়্যিদুল মুরসালিন মুহাম্মাদ (সা.) এবং খুলাফায়ে রাশিদীনের প্রথম ও দ্বিতীয় খলীফাহ্ যথাক্রমে আবূ বাকর সিদ্দীক এবং ‘উমার ফারূক (রাঃ) সহ অনেক বড় বড় ইসলামের মহান মনীষী যেমন ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তিরমিযী প্রমুখ এই বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; আল লু'আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৯১ পৃ.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)