৫২৭২

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - আশা আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগ প্রসঙ্গ

৫২৭২-[৫] উক্ত রাবী (আবু হুরায়রাহ্ রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা সে ব্যক্তির আপত্তির অবকাশ রাখেননি যার মৃত্যুকে বিলম্বিত করে ষাট বছরে পৌঁছে দিয়েছেন। (বুখারী)

الفصل الاول ( بَاب الأمل والحرص)

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْذَرَ اللَّهُ إِلَى امْرِئٍ أَخَّرَ أَجَلَهُ حَتَّى بَلَّغَهُ سِتِّينَ سَنَةً» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

رواہ البخاری (6419) ۔
(صَحِيح)

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اعذر الله الى امرى اخر اجله حتى بلغه ستين سنة» . رواه البخاري رواہ البخاری (6419) ۔ (صحيح)

ব্যাখ্যা : হাদীসে উল্লেখিত (أعَزَّرَ) শব্দটি (عزر) মূলধাতু থেকে উৎপন্ন অর্থ ওযর বা আপত্তি পেশ করা। এর উপর হামযা অক্ষরটি (سلب مأحز) মাদ্দাহর অর্থ দূরীকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা তার ওযর বা আপত্তি উঠিয়ে নেন, তার ওযর পেশ করার আর কোন সুযোগ রাখেন না। এর অর্থ হলো মানুষের বয়স যখন ষাট বছরে পৌঁছে যায় তখন সে এক সম্মানের জীবনে পদার্পণ করে; এটা তার জীবনের জন্য অতিরিক্ত পাওনা, এ সময়ে সে অতীতের পাপের জন্য তাওবাহ করবে, ‘ইবাদতে চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করবে। কিন্তু এসবের পরোয়া না করে সে যদি গাফিল হয়েই থাকে তাহলে কিয়ামতের বিচারের কোর্টে আল্লাহ তা'আলা তার তাওবাহ ও ইবাদাত-বন্দেগী না করার কোন প্রকার আপত্তি গ্রহণ করবেন না। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; লু'আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৮৮ পৃ.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)