পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - গরীবদের ফযীলত ও নবী (সা.) -এর জীবন-যাপন
৫২৬০-[৩০] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দুনিয়ার মধ্য হতে তিনটি জিনিসকে ভালোবাসতেন- খাদ্য, নারী ও সুগন্ধি। এর মধ্যে দু’টি তো তিনি অর্জন করেছেন, আর একটি লাভ করেননি। লাভ করেছেন নারী ও সুগন্ধি। আর (পর্যাপ্ত পরিমাণ) খাদ্য লাভ করেননি। (আহমাদ)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ - (بَابُ فَضْلِ الْفُقَرَاءِ وَمَا كَانَ مِنْ عَيْشِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ)
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْجِبُهُ مِنَ الدُّنْيَا ثَلَاثَةٌ الطَّعَامُ وَالنِّسَاءُ وَالطِّيبُ فَأَصَابَ اثْنَيْنِ وَلَمْ يُصِبْ وَاحِدًا أَصَابَ النِّسَاءَ وَالطِّيبَ وَلَمْ يُصِبِ الطَّعَامَ. رَوَاهُ أَحْمد
اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (6 / 72 ح 24944) * فیہ رجل : مجھول و الحدیث الآتی (5261) یغنی عنہ ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা : রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর দুনিয়ার পছন্দনীয় তিনটি বস্তু ভোগ্য এবং জৈবিক চাহিদার উদ্দেশে ছিল
১) খাদ্য পছন্দনীয় ছিল দেহের সুস্থতা রক্ষা এবং ‘ইবাদতে শক্তি অর্জনের জন্য। সুখাদ্য সকল মানুষের মৌলিক অধিকারও বটে, অতএব এটাই ছিল তার প্রিয় হওয়ার কারণ।
২) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট নারী পছন্দনীয় হওয়ার কারণ হলো নারী জাতির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। জাহিলী যুগে নারীর মাতৃত্বের অথবা স্ত্রীত্বের কোনই মর্যাদা ছিল না। রাসূলুল্লাহ (সা.) যথাস্থানে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে নারীকে তার সঠিক আসনে অধিষ্ঠিত করাই এ ভালোবাসার উদ্দেশ্য। অন্যথায় তিনি আরবের সবচেয়ে সুন্দরী কুমারী নারীদের বিবাহের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বহু সন্তানের জননী বিধবা নারী পূত-পবিত্র চরিত্রের অধিকারী খাদীজাকে বিবাহ করে যৌবন ও জীবনের বৃহৎ অংশ অতিবাহিত করতেন না। সর্বোপরি হীন ও ঘৃণ্য ইচ্ছার অবলুপ্তি ঘটিয়ে উত্তম ও পবিত্র বস্তুর মাধ্যমে পার্থিব প্রশান্তি লাভ করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।
৩) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর নিকট সুগন্ধি পছন্দনীয় ছিল। কতিপয় চিকিৎসাবিদের মতে এটা হলো মস্তিষ্ক সুস্থতার অন্যতম উপকরণ। উচ্চ মর্যাদা, ভদ্রতা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতীক হলো সুগন্ধি ব্যবহার, এ কারণেই রাসূলুল্লাহ (সা.) তা পছন্দ করতেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ও খাদ্য ছাড়া অন্য দুটি পেয়েছেন, এর অর্থ তিনি নারীকে তার আসনে পৌছাতে সক্ষম হয়েছেন এবং উচ্চ মর্যাদা ও ভদ্রতার প্রকৃত রূপরেখা তৈরি করে এক পরিচ্ছন্ন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রচুর সম্পদও পেয়েছেন কিন্তু তিনি তা জমিয়ে রাখেননি, বরং আল্লাহর পথে তা ব্যয় করে দিয়েছেন। তাই তাকে দরিদ্র মনে করা হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩১৯-২০ পৃ.)