পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - গরীবদের ফযীলত ও নবী (সা.) -এর জীবন-যাপন
ফাযীলাত বা মর্যাদা দ্বারা উদ্দেশ্য অতিরিক্ত সাওয়াব ও পুরস্কার। ধন-সম্পদের মাধমে অর্জিত মর্যাদার কথা বুঝানো হয়নি। নাবী (সা.)-এর জীবন ’ইবাদতের ক্ষেত্রে ছিল সবচেয়ে সমৃদ্ধ এবং বর্ণাঢ্য। কিন্তু জীবনের সুখ-সামগ্রী ও খানাপিনায় তিনি ছিলেন দরিদ্রের মতো।
৫২৩১-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: এমন অনেক লোক আছে- যাদের মাথার চুল এলোমেলো, মানুষের দুয়ার হতে বিতাড়িত। তবে সে যদি আল্লাহর নামে শপথ করে তখন তা পূরণ করেন। (মুসলিম) ।
الفصل الاول - (بَابُ فَضْلِ الْفُقَرَاءِ وَمَا كَانَ مِنْ عَيْشِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُبَّ أَشْعَثَ مَدْفُوعٍ بِالْأَبْوَابِ لَوْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لَأَبَرَّهُ» . رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (138 / 2622)، (6682) ۔
(صَحِيح)
৪১১৬, সুনান আন্ নাসায়ী ৪৭৫৫, সহীহুল জামি ৮৭০২, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ২৯০৪, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৬৪৩, মা'রিফাতুস্ । সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী ৫০৮৪, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০৬১২, ‘আবদ ইবনু হুমায়দ ৪৭৭, মুসনাদে আবূ ইয়া'লা ৩৫১৯, আল মু'জামুল আওসাত্ব ৮৬১, আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪৭১৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৬৩০৬, আস্ সুনানুস্ সুগরা ৩১৫৮।
ব্যাখ্যা : (أَشْعَثَ) শব্দের অর্থ হলো (مُتَفَرِّقُ شَعْرِرأْسِهٖ) মাথার চুল এলোমেলো, উস্কখুষ্ক হওয়া। কাযী বায়যাভী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, চুল ধুলামণ্ডিত ও অগোছালো হওয়া। (مَدْفُوعٍ بِالْأَبْوَابِ) “মানুষের দরজা থেকে বিতাড়িত”- এ ব্যাখ্যা হলো কারো বাড়ীতে সওয়াল করতে বা চাইতে গেলে লোকেরা তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে অথবা বকা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। একেবারে বিনয় ও হীনতার সাথে কারো দরজায় গেলেও তাকে তুচ্ছই ভাবা হয়। বাড়ীতে একান্ত প্রবেশ করতে দিলেও তাকে চরম তুচ্ছজ্ঞান করে প্রবেশ করানো হয়। অথচ আল্লাহর দরবারে তার মর্যাদা অনেক বেশি। এটা এজন্য যে, আল্লাহ তা'আলা সৃষ্টিকুল তথা লোকচক্ষু থেকে তার অবস্থাকে ঢেকে রাখতে চান, যাতে অন্যের সাথে তার মুহাব্বাত সৃষ্টি হয়ে না যায়।
(وْ أَقْسَمَ عَلَى اللَّهِ لَأَبَرَّهُ) অর্থাৎ সে যদি আল্লাহর নামে কসম করে তবে তা পূরণ করে। এ বাক্যের ব্যাখ্যায় বলা হয়, সে আল্লাহর কোন কর্মে যদি শপথ করে বলে যে, আল্লাহ এ কাজ করেছেন কিংবা করেননি, তা হলে আল্লাহ তা পূর্ণ করে দেন, তাকে কসম ভঙ্গের কাফারাহ্ দিতে হয় না। অর্থাৎ শপথকে সত্যে পরিণত করেন, এতে বিষয়টি তার কসমের মুআফিক হয়ে যায়। (মিরকাতুল মাফাতীহ; শারূহুন্ নাবাবী ১৬ খণ্ড, ১৫১ পৃ., হা. ২৬২২; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩০৯ পৃ.; লু'আহ্ ৮ম খ, ৪৫৫ পৃ.)।