৫২২৪

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫২২৪-[৭০] আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: (কিয়ামত দিবসে) আমালসমূহ উপস্থিত হবে। (সর্বপ্রথম) “সলাত” এসে বলবে : হে আমার প্রভু! আমি সলাত। আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমি কল্যাণময়। অতঃপর সাদাকা এসে বলবে, হে আমার প্রভু! আমি সাদাকা। আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমি কল্যাণময়। অতঃপর সিয়াম এসে বলবে, হে আমার প্রভু! আমি “সিয়াম”। আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমিও কল্যাণময়। অতঃপর অন্যান্য ’আমালসমূহ এরূপ আসবে এবং আল্লাহ। তা’আলাও বলবেন, তুমি কল্যাণময়। তারপর “ইসলাম” এসে বলবে, হে রব! তোমার এক নাম সালাম। আর আমি হলাম “ইসলাম”। আল্লাহ তা’আলা বলবেন, তুমিও কল্যাণময়। নিশ্চয় আজ আমি তোমার কারণেই পাকড়াও করব এবং তোমার ওয়াসীলায় সাওয়াব দান করব। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবে বলেছেন : (وَ مَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡهُ ۚ وَ هُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ) “এবং যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দীন অন্বেষণ করে, তার থেকে তা কক্ষনোই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে”- (সূরাহ্ আ-লি “ইমরান ৩: ৮৫)।”

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: تَجِيء الْأَعْمَال فتجيء الصَّلَاة قتقول: يارب أَنَا الصَّلَاةُ. فَيَقُولُ: إِنَّكِ عَلَى خَيْرٍ. فَتَجِيءُ الصَّدَقَة فَتَقول: يارب أَنَا الصَّدَقَةُ. فَيَقُولُ: إِنَّكِ عَلَى خَيْرٍ ثُمَّ يَجِيء الصّيام فَيَقُول: يارب أَنَا الصِّيَامُ. فَيَقُولُ: إِنَّكَ عَلَى خَيْرٍ. ثُمَّ تَجِيءُ الْأَعْمَالُ عَلَى ذَلِكَ. يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: إِنَّكِ عَلَى خَيْرٍ. ثُمَّ يَجِيءُ الْإِسْلَامُ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ أَنْتَ السَّلَامُ وَأَنَا الْإِسْلَامُ. فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: إِنَّكَ عَلَى خَيْرٍ بِكَ الْيَوْمَ آخُذُ وَبِكَ أُعْطِي. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ: (وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَة من الحاسرين)

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (2 / 362 ح 8727) * عباد بن راشد صدوق لکنہ وھم فی قولہ :’’ الحسن ثنا ابو ھریرۃ ‘‘ و الصواب ان الحسن لم یسمع من ابی ھریرۃ رضی اللہ عنہ ۔
(ضَعِيفٌ)

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: تجيء الاعمال فتجيء الصلاة قتقول: يارب انا الصلاة. فيقول: انك على خير. فتجيء الصدقة فتقول: يارب انا الصدقة. فيقول: انك على خير ثم يجيء الصيام فيقول: يارب انا الصيام. فيقول: انك على خير. ثم تجيء الاعمال على ذلك. يقول الله تعالى: انك على خير. ثم يجيء الاسلام فيقول: يا رب انت السلام وانا الاسلام. فيقول الله تعالى: انك على خير بك اليوم اخذ وبك اعطي. قال الله تعالى في كتابه: (ومن يبتغ غير الاسلام دينا فلن يقبل منه وهو في الاخرة من الحاسرين) اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (2 / 362 ح 8727) * عباد بن راشد صدوق لکنہ وھم فی قولہ :’’ الحسن ثنا ابو ھریرۃ ‘‘ و الصواب ان الحسن لم یسمع من ابی ھریرۃ رضی اللہ عنہ ۔ (ضعيف)

ব্যাখ্যা : মানুষের ‘আমালসমূহ কিয়ামত দিবসে আকৃতি ধারণ করে আল্লাহর সমীপে হাযির হবে। নেক আমল মালিকের পক্ষে যুক্তি-প্রমাণ পেশ করে সুপারিশ করবে। পক্ষান্তরে আমলের বিরুদ্ধাচারী ও আমল বর্জনকারীদের বিরুদ্ধে বিতর্কে লিপ্ত হবে।
সলাত তার কথা বলার ভাষায় বলবে অথবা উপস্থিত তাকে যে বলার শক্তি দেয়া হবে সেই যবানে কথা বলবে। কেউ কেউ বলেছেন, আমলের দেহ বা আকৃতি ধারণের অর্থ হলো তার আসার বা চিহ্ন প্রকাশ হওয়া।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সলাত বলবে- আমার শাফা'আতের অধিকার রয়েছে, কেননা আমি হলাম দীনের স্তম্ভ। এভাবে বিভিন্ন আমাল এসে আল্লাহর সমীপে বান্দার পক্ষে কথা বলবে। আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেকটি আ'মালেরই কথার জওয়াব দিবেন। সর্বশেষে ইসলাম এসেও আল্লাহর সাথে কথা বলবে। আল্লাহ তা'আলা তার কথারও উত্তর দিবেন। ইসলাম বলবে- হে আল্লাহ তা'আলা! তুমি সালাম আর আমি ইসলাম। আমাদের উভয়ের মাঝে ইসমে ইস্তিকাক তথা গঠন রূপান্তরের সম্পর্ক ও চিহ্নগত মিল রয়েছে।
অতএব সেই ভিত্তি আমাকে প্রতিষ্ঠাকারীকে দারুস সালাম তথা জান্নাতে প্রবেশের দাবী রাখে।
অতঃপর আল্লাহ তা'আলা বলবেন, হ্যাঁ, আজ তোমার কারণেই আমি শাস্তির জন্য পাকড়াও করব এবং তোমার কারণেই সম্মানিত করব ও পুরস্কার দেব। এরপর কুরআনের উক্ত আয়াত পাঠ করবেন। আয়াতের মধ্যে ইশারা রয়েছে যারা ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করবে তারা চিরস্থায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে না বরং সফলকামী ও মুক্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; আল কাশিফ প্রাগুক্ত, আল লুম্'আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৪৯ পৃ.)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)