১১৮১

পরিচ্ছেদঃ ৩২/৪৩. খায়বারের যুদ্ধ।

১১৮১. সালামাহ ইবনু আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে খাইবার অভিযানে বেরোলাম। আমরা রাতের বেলা চলছিলাম, তখন দলের এক ব্যক্তি আমির (রাঃ) কে বলল, হে আমির! তোমার সমর সঙ্গীত থেকে আমাদেরকে কিছু শোনাবে না কি? আমির (রাঃ) ছিলেন একজন কবি। তখন তিনি সওয়ারী থেকে নামলেন এবং সঙ্গীতের তালে তালে কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে চললেন। তিনি গাইলেনঃ

হে আল্লাহ! তুমি না হলে আমরা হিদায়াত লাভ করতাম না,

সাদাকা দিতাম না আর সালাত আদায় করতাম না।

তাই আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন, যতদিন আপনার প্রতি সমৰ্পিত হয়ে থাকব।

শত্ৰুর মুকাবিলায় আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন।

এবং আমাদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন।

আমাদেরকে যখন (কুফরের দিকে) ডাকা হয় আমরা তখন তা প্রত্যাখ্যান করি।

আর এ কারণে তারা চীৎকার করে আমাদের বিরুদ্ধে লোক-লস্কর জমা করে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ সঙ্গীতের গায়ক কে? তাঁরা বললেন, আমির ইবনুল আকওয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন। কাফেলার একজন বললঃ হে আল্লাহর নবী! তার (শাহাদাত) নিশ্চিত হয় গেল। (হায়) আমাদেরকে যদি তার নিকট হতে আরো উপকার লাভের সুযোগ দিতেন। অতঃপর আমরা খাইবারে পৌছলাম এবং তাদেরকে অবরোধ করলাম। এক সময় আমরা ভীষণ ক্ষুধায় আক্রান্ত হলাম। কিন্তু পরেই মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করলেন।

বিজয়ের দিন সন্ধ্যায় মুসলিমগণ (রান্নার জন্য) অনেক আগুন জ্বালাতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ এ সব কিসের আগুন? তোমরা কী রান্না করছ? তারা জানালেন, মাংস। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ কিসের মাংস? লোকরা বললেন, গৃহপালিত গাধার মাংস। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এগুলি ঢেলে দাও এবং ডেকচিগুলো ভেঙ্গে ফেল। একজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাংসগুলো ঢেলে দিয়ে যদি পাত্রগুলো ধুয়ে নেই? তিনি বললেন, তাও করতে পার। এরপর যখন সবাই যুদ্ধের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িলে গেলেন, আর আমির ইবনুল আকওয়া (রাঃ)-এর তলোয়ারটা ছিল ছোট, তা দিয়ে তিনি এক ইয়াহুদীর পায়ের গোছায় আঘাত করলে তরবারির তীক্ষ ভাগ ঘুরে এসে তাঁর নিজের হাঁটুতে লেগে যায়। এতে তিনি মারা যান।

সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) বলেনঃ তারপর লোকরা খাইবার থেকে ফিরতে শুরু করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখে আমার হাত ধরে বললেন, কী খবর? আমি বললামঃ আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। লোকজন ধারণা করছে, (নিজ আঘাতে মারা যাওয়ায়) আমির এর আমল নষ্ট হয়ে গেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ কথা যে বলেছে সে মিথ্যা বলেছে। বরং আমিরের রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দু’টি আঙ্গুল একত্রিত করে দেখালেন। অবশ্যই সে একজন সচেষ্ট ব্যক্তি ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী। তাঁর মত গুণের অধিকারী আরবে খুব কমই আছে।

غزوة خيبر

حديث سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ رضي الله عنه، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، فَسِرْنَا لَيْلاً، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ، لِعَامِرٍ: يَا عَامِرُ أَلاَ تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلاً شَاعِرًا، فَنَزَلَ يَحْدُو بِالْقَوْمِ، يَقُولُ:
اَللَّهُمَ لَوْلاَ أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَاوَلاَ تَصَدَّقْنَا وَلاَ صَلَّيْنَافَاغْفِرْ، فِدَاءً لَكَ، مَا أَبْقَيْنَاوَثَبِّتِ الأَقْدَامَ إِنْ لاَقَيْنَاوَأَلْقِيَنْ سَكِينَةً عَلَيْنَاإِنَّا إِذَا صِيحَ بِنَا أَبَيْنَاوَبِالصِّيَاحِ عَوَّلُواعَلَيْنَافَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ هذَا السَّائِقُ قَالُوا: عَامِرُ بْنُ الأَكْوعِ قَالَ: يَرْحَمُهُ الله قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: وَجَبَتْ يَا نَبِيَّ اللهِ لَوْلاَ أَمْتَعْتَنَا بِهِ فَأَتَيْنَا خَيْبَرَ فَحَاصَرْنَاهُمْ حَتَّى أَصَابَتْنَا مَخْمَصَةٌ شَدِيدَةٌ ثُمَّ إِنَّ اللهَ تَعَالَى فَتَحَهَا عَلَيْهِمْ فَلَمَّا أَمْسى النَّاسُ مَسَاءَ الْيَوْم الَّذِي فُتِحَتْ عَلَيْهِمْ أَوْقَدُوا نِيرَانًا كَثِيرةً فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا هذِهِ النِّيرَانُ عَلَى أَيِّ شَيْءٍ توقِدُونَ قَالُوا: عَلَى لَحْمٍ قَالَ: عَلَى أَيِّ لَحْمٍ قَالُوا: لَحْمُ حُمُرِ الإِنْسِيَّةِ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أهْرِيقُوهَا وَاكْسِرُوهَا فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ أَوْ نُهَرِيقُهَا وَنَغْسِلُهَا؛ قَالَ: أَوْ ذَاكَ

فَلَمَّا تَصَافَّ الْقَوْمُ كَانَ سَيْفُ عَامِرٍ قَصِيرًا، فَتَنَاوَلَ بِهِ سَاقَ يَهُودِيٍّ لِيَضْرِبَهُ وَيَرْجِعُ ذُبَابُ سَيْفِهِ، فَأَصَابَ عَيْنَ رُكْبَةِ عَامِرٍ، فَمَاتَ مِنْهُ قَالَ: فَلَمَّا قَفَلُوا، قَالَ سَلَمَةُ: رَآنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ آخِذٌ بِيَدِي، قَالَ: مَا لَكَ قلْتُ لَهُ: فَدَاكَ أَبِي وَأُمِّي زَعَمُوا أَنَّ عَامِرًا حَبِطَ عَمَلُهُ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَذَبَ مَنْ قَالَهُ إِنَّ لَهُ لأَجْرَيْنِ وَجَمَعَ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ: إِنَّهُ لَجَاهِدٌ مُجَاهِدٌ، قَلَّ عَرَبِيٌّ مَشى بِهَا مِثْلَهُ

حديث سلمة بن الاكوع رضي الله عنه، قال: خرجنا مع النبي صلى الله عليه وسلم الى خيبر، فسرنا ليلا، فقال رجل من القوم، لعامر: يا عامر الا تسمعنا من هنيهاتك وكان عامر رجلا شاعرا، فنزل يحدو بالقوم، يقول: اللهم لولا انت ما اهتديناولا تصدقنا ولا صلينافاغفر، فداء لك، ما ابقيناوثبت الاقدام ان لاقيناوالقين سكينة عليناانا اذا صيح بنا ابيناوبالصياح عولواعلينافقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من هذا الساىق قالوا: عامر بن الاكوع قال: يرحمه الله قال رجل من القوم: وجبت يا نبي الله لولا امتعتنا به فاتينا خيبر فحاصرناهم حتى اصابتنا مخمصة شديدة ثم ان الله تعالى فتحها عليهم فلما امسى الناس مساء اليوم الذي فتحت عليهم اوقدوا نيرانا كثيرة فقال النبي صلى الله عليه وسلم: ما هذه النيران على اي شيء توقدون قالوا: على لحم قال: على اي لحم قالوا: لحم حمر الانسية قال النبي صلى الله عليه وسلم: اهريقوها واكسروها فقال رجل: يا رسول الله او نهريقها ونغسلها؛ قال: او ذاك فلما تصاف القوم كان سيف عامر قصيرا، فتناول به ساق يهودي ليضربه ويرجع ذباب سيفه، فاصاب عين ركبة عامر، فمات منه قال: فلما قفلوا، قال سلمة: راني رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو اخذ بيدي، قال: ما لك قلت له: فداك ابي وامي زعموا ان عامرا حبط عمله قال النبي صلى الله عليه وسلم: كذب من قاله ان له لاجرين وجمع بين اصبعيه: انه لجاهد مجاهد، قل عربي مشى بها مثله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৩২/ জিহাদ (كتاب الجهاد)